চকরিয়ায় পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে স্থাপনা নির্মাণ

39

চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের নলবিলা এলাকায় পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে ওই এলাকার অন্তত দুইশত একর জমি স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রূপ নেয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জমি মালিক ও কৃষকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্র জানায়, চকরিয়া উপজেলা লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নলবিলা এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের ওই এলাকায় বড় ধরনের পৃথক দুইটি কালভার্ট নির্মাণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। গত কয়েক বছর পূর্বে নলবিলা বনবিটের উত্তর পাশে নির্মিত কালভার্ট ঘেষে মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠে হাজী সরওয়ার নামের একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশন। বর্তমানে ওই সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মালিক পার্শ্ববর্তী জমি ক্রয় করে তার উপর স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ শুরু করায় স্বাভাবিক পানি চলাচলের গতিপথ বন্ধ হয়ে নলবিলা এলাকার অন্তত দুইশত একর জমি বর্ষা মৌসূমে স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রূপ নেয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসী সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীয় লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার বলেন, বর্ষা মৌসুমে নলবিলা ও পূর্ব নলবিলা এলাকার পানি নিষ্কাশন নির্ভর করে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের লক্ষ্যারচর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নলবিলা এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্মিত বড় সাইজের দুইটি কালভার্ট দিয়ে। সুতরাং এ পানি চলাচলের গতিপথ বন্ধ করে স্থাপনা নির্মাণ করা হলে ওই এলাকার জমি ও আশপাশে বসতবাড়িগুলো বর্ষা মৌসুমে স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রূপ পাবে। বিষয়টির খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। পানি চলাচলের গতিপথ বন্ধ করে স্থাপনা নির্মাণের ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের চকরিয়া অফিসের এসও আবু এহেছান মো.আজিজুল মোস্তফা বলেন, ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা হলেও পানি চলাচলের গতিপথ বন্ধ করে স্থাপনা নির্মাণ করার অধিকার কারো নেই। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্মিত কালভার্টের পানি চলাচলের গতিপথ বন্ধ করে কেউ স্থাপনা নির্মাণ করলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।