চকরিয়ায় জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস মাদক বিরোধী অবহিতকরণ সভা

33

কক্সবাজারের চকরিয়ায় জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও সামাজিক অপরাধ বিরোধী আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক অবহিতকরণ সভা সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের চারালিয়া স্টেশন এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়। চিরিংগা ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
চিরিংগা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) কাজী মো. মতিউল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতিকুল ইসলাম।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) কাজী মো. মতিউল ইসলাম বলেন, দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও সামাজিক অপরাধীদের কোনো স্থান হবে না। সে যতবড় ক্ষমতাশালী ব্যক্তি বা রাজনৈতিক নেতা হোক না কেন তার বিরুদ্ধেও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মনে রাখতে হবে কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়। চরণদ্বীপের চিংড়ি ও মৎস্য চাষীর নিরাপত্তায় প্রয়োজনে সবরকম আইনি ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে সন্ত্রাসকে প্রতিরোধ করবে প্রশাসন। তিনি আরও বলেন, একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা পাল্টা মামলা থাকতেই পারে। তাই বলে এটাকে ইস্যু করে হত্যা, সন্ত্রাস সৃষ্টি করবে সেটা কখনোই সহ্য করা হবে না। প্রয়োজনে বিরোধীয় পক্ষদ্বয়ের মধ্যে মামলা নিস্পত্তিতে সহায়তারও আশ্বাস দেন তিনি।
প্রসঙ্গত: জমির বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চরণদ্বীপ এলাকায় প্রতিপক্ষের গুলিতে আব্দুল হামিদ (৩৫) নামে এক কাঁকড়া ব্যবসায়ী খুন হয়। নিহত কাঁকড়া ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ ওই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বুড়িপুকুর এলাকার আহামদ হোসেনের ছেলে। এ ঘটনার পর হামিদ হত্যার ইস্যুকে কেন্দ্র করে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী চরণদ্বীপ ও শুকনাফাঁড়ি এলাকার ২৫-৩০টি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে বাড়ির আসবাবপত্র, গবাদিপশুসহ অর্ধকোটি টাকার মালামাল লুট করার অভিযোগ উঠে।
এ ঘটনার পর চরণদ্বীপ ২ গ্রামের অন্তত ৩০ পরিবারের লোকজন ঘর ছেড়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে চিরিংগা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বি এ প্রশাসনিক সহযোগিতায় আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিত গতিতে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে চিরিঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ হয়ে এলাকার দাগী আসামীদের আত্মসমর্পনের মাধ্যমে এলাকায় শান্ত পরিবেশে ফিরিয়ে আনার আহব্বান জানান।
পাশাপাশি চরণদ্বীপে একটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনে সহযোগিতার জন্য সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মো. মতিউল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণের পাশাপাশি সন্ত্রাসের সাথে কারা কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সামাজিক, রাজনৈতিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।