চকরিয়ায় গাড়ির হেলপারের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ

92

কক্সবাজারের চকরিয়ায় জাকারিয়া নামে এক গাড়ির হেলপার কর্তৃক ৯ বছর বয়সী শিশুছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের শিকার ওই শিশুছাত্রী স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। রবিবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাইঘ্যারঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ধর্ষক ওই এলাকার এমদাদ আহমদের ছেলে ও গাড়ির হেলপার।
ধর্ষণের শিকার শিশুছাত্রীর পিতা বলেন, প্রতিদিনের মতো রবিবার সকাল ১০টায় স্কুলে গিয়েছিলো তার শিশুকন্যা। এদিন বিকাল ৪টায় স্কুলছুটির পর বাড়ি ফিরছিলো সে। এ সময় হঠাৎ হারবাং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাইঘ্যারঘোনা এলাকার এমদাদ আহমদের ছেলে মোটর শ্রমিক জাকারিয়া তার মেয়েকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি মৎস্য প্রকল্পের নির্জনস্থানে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার পরও মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। কিন্তু কোথাও হদিস মেলেনি। একপর্যায়ে পার্শ্ববর্তী মৎস্য খামারে মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। পরে আমার মেয়েকে চিকিৎসার জন্য চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) রেফার করেন। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে আমার মেয়ে।
ভিকটিমের পিতা অভিযোগ করেন, মৎস্য খামার থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে নেয়ার পথে আপোষরফার কথা বলে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল বাঁধা প্রদান করে। কিন্তু তাদের বাঁধা উপেক্ষা করে আমরা মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করি। চিকিৎসা শেষে ফেরার পর এ ঘটনার ব্যাপারে থানায় মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
চকরিয়া থানার ওসি মো.হাবিবুর রহমান বলেন, হারবাং ইউনিয়নের বাইঘ্যারঘোনা এলাকায় শিশুছাত্রী ধর্ষণের খবর পেয়ে তৎক্ষণাত ঘটনাস্থলে হারবাং ফাঁড়ি পুলিশকে পাঠানো হয় এবং এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওসি আরও বলেন, ভিকটিমকে চিকিৎসা সেবা দিতে তার মা-বাবা এখন কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওসিসিতে রয়েছেন। চিকিৎসা শেষে ফেরার পর থানায় লিখিত এজাহার দিলে তা মামলা হিসেবে এন্টি করা হবে বলেও জানান তিনি।