ঘূর্ণিঝড়ে আবারও জটিলতা ওয়েবসাইটে

24

‘অতি প্রবল’ ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসায় সতর্ক সংকেত বাড়ালেও কারিগরি জটিলতায়’ ১২ ঘণ্টার বেশি সময় ওয়েবসাইটে হালনাগাদ কোনো তথ্য দিতে পারেনি আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সমালোচনার মধ্যেই পাল্টা-পাল্টি বক্তব্য এসেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর ও বিটিসিএলের পক্ষ থেকে। জটিলতা আসলে কোথায়, সে বিষয়টি কোনো পক্ষই খোলাসা করেনি।
এর আগে গত মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ফনীর সময়ও একই ধরনের জটিলতায় পড়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে আবহাওয়ার ১৩ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়। সেই বুলেটিন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ফেসবুক পেইজেও প্রকাশ করা হয়। সকালে সেই প্রবল ঘূর্ণিঝড় পরিণত হয় অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। ঘণ্টায় সোয়া’শ কিলোমিটার বেগের বাতাসের শক্তি নিয়ে বাংলাদেশের খুলনা উপকূলের দিকে ধেয়ে আসতে থাকায় আবহাওয়া অধিদপ্তর সংকেত বাড়িয়ে সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলে।
অথচ এরকম জরুরি সময়ে সেই তথ্য ওয়েবসাইটে দেখাতে পারছিল না আবহাওয়া অধিদপ্তর। বিকাল পর্যন্ত ওয়েবসাইটের টিকারে ৩ নম্বর সংকেতের কথা দেখানো হচ্ছিল। বুলেটিন দেখতে ক্লিক করলে দেখানো হচ্ছিল আগের রাতের পুরনো বুলেটিন। এমনকি ‘বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের’ ফেসবুক পেইজেও দুপুর পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল আগের বিজ্ঞপ্তি। খবর বিডিনিউজের
তবে ফোনে যোগাযোগ করা হলে অধিদপ্তরের কর্মীরা ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের হালনাগাদ তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছিলেন। টেলিভিশনেও মাঝে মধ্যে তাদের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে দেখা যাচ্ছিল।