ঘুমধুমে রোহিঙ্গাদের মলমূত্র ফেলার গর্ত স্থাপন নিয়ে ক্ষোভ

20

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের টিভি রিলে কেন্দ্রের পূর্ব পাশে ঘুমধুম ইউনিয়নের কাস্টমস ঘোনারপাড়া কয়লার শহর এলাকায় লোকালয়ে রোহিঙ্গাদের মলমূত্র সংরক্ষণের জন্য ওয়ার্ল্ড ভিশন কর্তৃক নির্মিত গর্ত স্থাপন নিয়ে এলাকাবাসির মাঝে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে এবং উক্ত সেবা সংস্থার প্রতি এলাকাবাসির মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা যায়, বিশাল আকৃতির এলাকাজুড়ে খনন করা হচ্ছে গর্তগুলো। গর্তগুলোতে ফেলা হবে রোহিঙ্গাদের মলমূত্র। কিন্তু আরকান সড়কের পাশে এবং লোকালয়ের মাঝখানে হওয়ায় তা নিয়ে স্থানীয় লোকজন মাঝে সৃষ্টি হয়েছে চরম ক্ষোভ আর উত্তেজনা।
স্থানীয় এলাকাবাসির মধ্যে ছৈয়দ আলম, মনজুর মিস্ত্রি, মোহাম্মদ আলী সওদাগর, ছৈয়দ হোসেন, সুলতান আহমদ, কামাল উদ্দিন, হাছিনা বেগম, শফিউল্লাহ, হামিদুল হক সহ অনেকে অভিযোগ করে জানান, আমাদের বাড়ির পাশে রোহিঙ্গাদের মলমূত্র ফেলার যে গর্তটি স্থাপন করা হচ্ছে, তার দুর্গন্ধে আমাদেরকে ঘর ছেড়ে অন্যত্র পালাতে হবে। আর যাতায়াতের সন্নিকটে হওয়ায় চলাচলের পথও বন্ধ হয়ে যাবে। তাই এই গর্তটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবছার কামাল জানান, রোহিঙ্গার কারণে ঘুমধুম ইউনিয়নের মানুষ এমনিতে ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু তার তুলনায় ঘুমধুমের মানুষ কোন সাহায্য সহযোগিতা পায়নি। এর মাঝে মলমূত্রের গর্ত স্থাপন ঘুমধুমবাসির জন্য অপমানজনক। এ ছাড়াও পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. শাহজাহান বলেন, রোহিঙ্গাদের মলমূত্র ফেলার জন্য স্থানীয় জনবসতির মাঝে গর্ত তৈরি করা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। তাছাড়া এসব মলমূত্রের দুর্গন্ধে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে পরিবেশের চরম ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আশে-পাশের লোকজনের নিকট ডায়রিয়া, কলেরাসহ বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি সৃষ্টি হওয়ার আশংকা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সেবা সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশনের কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে এ ব্যাপারে জানার জন্য একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা কেউ এর সাথে সম্পৃক্ত নয় বলে সংযোগ কেটে দেন।