গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে ৩২ অনুচ্ছেদ মানার নির্দেশ

44

আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আদালত বলেন, ‘এখন থেকে যে কাউকে গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ মানতে হবে’। গত ৭ আগস্ট প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের আপিল বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘আইনানুযায়ী ব্যতীত জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতা হইতে কোনো ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাইবে না’।
হত্যা, ধর্ষণ ও ডাকাতির মামলায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে জামিন না দেওয়াসহ ১৬ দফা নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি ৮ সপ্তাহের বেশি আগাম জামিন না দিতেও নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্ট বিভাগের উদ্দেশ্যে আপিল বিভাগ বলেন, ‘হাইকোর্টকে এফআইআর সূক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আসামি যেন কোনো সাক্ষীকে ভয় ভীতি দেখাতে না পারে, সে বিষয়টি আগাম জামিনের শর্ত হিসেবে জুড়ে দিতে হবে। কাউকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জামিন দেওয়া যাবে না’।
এরআগে, গত ১৮ এপ্রিল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৪ শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা একাধিক মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের নিষ্পত্তি করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ কিছু পর্যবেক্ষণসহ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে এই আদেশ দেন। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
আপিল বিভাগ তার রায়ে বলেন, ‘এই রায় হাতে পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে বিআই বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে’।
এই মামলার আসামিরা হলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন ও বরকত উল্লাহ বুলু, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ, ড্যাব নেতা এ জেড এমন জাহিদ হোসেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।