গ্রামীণফোনের নতুন সিইও আজমান

33

দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হয়েছেন ইয়াসির আজমান। তিনিই এই পদে প্রথম বাংলাদেশি।
দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হয়েছেন ইয়াসির আজমান। তিনিই এই পদে প্রথম বাংলাদেশি।
গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ ইয়াসির আজমানকে আগামী ১ ফেব্রæয়ারি থেকে সিইও পদে নিয়োগ দিয়েছে বলে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। খবর বিডিনিউজের
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদে আসার আগে ইয়াসির আজমান ২০১৫ সালের জুন থেকে গ্রামীণফোনের সিএমও এবং ২০১৭ সালের মে মাস থেকে ডেপুটি সিইও ও সিএমও’র দায়িত্ব পালন করছেন।
এর আগে তিনি টেলিনর গ্রæপের বিতরণ ও ই-বিজনেস বিভাগের প্রধান এবং টেলিনরের হয়ে বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইয়াসির আজমান গ্রামীণফোনের বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল ফোলির স্থলাভিষিক্ত হবেন। মাইকেল ফোলি আফ্রিকায় তার পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ইয়াসির আজমানের নতুন দায়িত্বে আসা নিয়ে গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান পেটার বি ফারবার্গ বলেন, “ইয়াসির আজমান গ্রামীণফোন ও টেলিনর গ্রæপের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেই আজকের অবস্থানে এসেছেন। আমি অনেক আনন্দিত যে, আজমান আমাদের বাংলাদেশি অপারেশনের নেতৃত্ব দিতে রাজি হয়েছেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে গ্রামীণফোনের সিইও হচ্ছেন। এটি টেলিনর ও গ্রামীণফোনের সকলের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
“গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ও সিএমও হিসাবে আজমান টেলিনর গ্রæপের সব থেকে বাণিজ্যিকভাবে সফল অপারেশন পরিচালনা করে আসছেন। আমি বিশ্বাস করি, আজমান সিইও হিসাবেও তার নতুন চ্যালেঞ্জে একইভাবে সফল হবেন।”
মাইকেল ফোলি ২০১৭ সালের মে মাসে গ্রামীণফোনের সিইও হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে টেলিনর পাকিস্তান ও বুলগেরিয়ার সিইও হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ফারবার্গ বলেন, মাইকেলের নেতৃত্বে গ্রামীণফোন মজবুত অর্থনৈতিক ভিত্তি তৈরি করেছে এবং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সম্পন্ন করেছে। আমি টেলিনর ও গ্রামীণফোনের জন্য তার বিশেষ অবদানকে ধন্যবাদ দিতে চাই।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মোবাইল অপারেটরটির সাড়ে সাত কোটি গ্রাহককে আরও উন্নত সেবা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন ইয়াসির আজমান।
তিনি বলেন, গ্রামীণফোনের সিইও হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তাব পেয়ে আমি অনেক আনন্দিত ও সম্মানিত বোধ করছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ, সামাজিক ক্ষমতায়ন এবং আমাদের গ্রাহকদের জন্য যা গুরুত্বপূর্ণ তার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিতে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী।