গ্যাসের দামবৃদ্ধিতে পরোক্ষভাবে সবাই লাভবান হবে

41

গ্যাসের দাম বাড়ানোয় পরোক্ষভাবে সবাই লাভবান হবে বলে দাবি করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। গতকাল রবিবার জাতীয় সংসদের বৈঠকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের পক্ষে সংসদে সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।
জাসদের সংসদ সদস্য শিরীন আখতারের সম্পূরক প্রশ্নের ড. রাজ্জাক বলেন, ‘গ্যাসের দাম বেশ কয়েকবার বেড়েছে এবং প্রতিক্রিয়াও হয়েছে যে দাম বাড়ানো ঠিক হয়নি। স্বীকার করি দাম বাড়ানো হলে সাধারণ মানুষ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গ্যাস, কয়লা বা ডিজেল লাগে। এতে আমাদের অনেক ভর্তুকি দিতে হয়। এক্ষেত্রে আমাদের চিন্তা করতে হবে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে গিয়ে কিছুটা দাম বাড়লেও এর নানামুখী প্রভাব, অর্থাৎ শিল্পকারখানা স্থাপনসহ সার্বিক অর্থনীতির ওপর কী প্রভাব পড়বে, সেটা বিবেচনা করতে হবে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সবসময় যদি সরকারকে ভর্তুকি দিতেই হয় তাহলে কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রে উন্নয়ন ব্যাহত হবে। কাজেই সবদিক বিচার-বিবেচনা করে দাম বাড়াতে হয়েছে। এতে করে কিছু কিছু মানুষ প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরোক্ষভাবে আমরা সবাই লাভবান হবো। সার্বিক অর্থনীতির ওপরে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
এ প্রসঙ্গে ড. রাজ্জাক আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে বড় প্রয়োজন শিল্পকারখানা গড়ে তোলা। আমাদের ছেলেমেয়েরা পড়ালেখা করছে। তারা লেখাপড়া শেষে কিন্তু গ্রামের মাঠে গিয়ে আর কৃষি কাজ করবে না। তাদের জন্য চাকরি দরকার। সেই চাকরির জন্য শিল্পকারখানা করা দরকার। আর শিল্পকারখানার জন্য সব থেকে বড় অন্তরায় ছিল জ্বালানি। আমরা এলএনজি বিদেশ থেকে আমদানি করে গ্যাস সরবারের চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে ৫০০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট আসছে। বেসরকারি খাতের সামিট পাওয়ার ৫০০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট আনছে। ফলে অনেকটা স্বস্তি এসেছে।’ খবর বাংলা ট্রিবিউনের
এদিকে গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়ে এক সম্পূরক প্রশ্নে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম সংসদের অধিবেশন চলমান অবস্থায় সংসদকে না জানিয়ে গ্যাসের দাম বাড়ানো বৈধ কিনা, তা জানতে চান। জবাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার বিস্তারিত জানা নেই। সংসদ সদস্য নোটিশ দিলে সঠিক উত্তর পাবেন।’
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতা ছাড়ে তখন বিদ্যুতের উৎপাদন ছিল ৩ হাজার ২০০ মগাওয়াট। ৫ বছর ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তারা ১ ওয়াট বিদ্যুৎও যোগ করতে পারেনি। এখন ১৩ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। শিল্পকারখানা সচল ও রফতানি আয় বাড়ানোর জন্য বিদ্যুতের প্রয়োজন আছে। সুতরাং রাজনীতি না করে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করতে হবে।’