গৃহহীন প্রবীণদের ‘সুপার হিরো’ আট বছরের টেইলর

17

প্রবীণদের রাস্তায় জীবন যাপন দেখে মন কেঁদে ওঠে আট বছরের শিশু টেইলর স্ট্যালিংসের। তার যখন চার বছর বয়স তখনই সে রাস্তায় বাস করা প্রবীণদের দুঃখ উপলদ্ধি করে। তখন থেকেই এসব গৃহহীণ প্রবীণদের সাহায্যে এগিয়ে আসে সে। এখন তার বয়স আট বছর। গত চার বছরে সে ৫০ হাজার ডলার (৪২ লাখ টাকা প্রায়) সংগ্রহ করেছে এবং গৃহহীন প্রবীণদের জন্য খরচ করেছে। গৃহহীন প্রবীণদের কাছে ছোট্ট টেইলর আসলে ‘সুপার হিরো’। যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে বাবা-মায়ের সঙ্গে বাস করে টেইলর। সেখানেই গৃহহীন অবস্থায় রাস্তায় বাস করা প্রবীনদের জন্য নিরলস কাজ করে সে। তার কথায়, এসব প্রবীণ ব্যক্তিরা তাদের জীবনের সবই দেশের জন্য দিয়েছেন।
এখন তাদের জন্য আমাদের কিছু করা উচিত। টেইলরের মা আন্দ্রে বøাকস্টোন বলেন, ওর যখন চার বছর বয়স তখন প্রবীণদের গুরুত্ব শিক্ষা দেয়ার জন্য ইউটিউবে ভিডিও দেখানো হচ্ছিল। কারণ টেইলরের পরিবারেও প্রবীণ ব্যক্তিরা রয়েছেন। মা তাকে শিক্ষা দিচ্ছিলেন যে প্রবীণরা দেশের জন্য কতটা করেছেন। এসময় তিনি প্রবীণদের হিরো বলে আখ্যায়িত করেন। এরপরই গৃহহীণ প্রবীনদের ভিডিও দেখে অবাক হয়ে ছোট্ট টেইলর তার মাকে জিজ্ঞাসা করে, তারা যদি হিরো হয় তাহলে তাদের রাস্তায় থাকতে হয় কেন? এসময় টেইলর তার মাকে এসব প্রবীণদের জন্য ঘর বানাতে বলে। কিন্তু তাকে বোঝান হয় যে তাদের জন্য ঘর বানাতে তারা পারেন না। এরপরই টেইলর কীভাবে গৃহহীণ প্রবীণদের সাহায্য করতে পারে তা নিয়ে ভাবতে থাকেন মা বøাকস্টোন।তারা মেরিল্যান্ডের গভর্নরের কাছে যান এবং তিনি টেইলরকে ১০০ ডলার অনুদান দেন। তারপর বাড়ি ফিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফান্ড সংগ্রহ করতে ক্যাম্পেইন করেন। টেইলরের ইচ্ছা ছিল প্রবীণ দিবসে এসব গৃহহীনদের খাবার ও কাপড় দেয়ার।
পরে পরিকল্পনা করে যে শুধু মাত্র প্রবীণ দিবসেই নয় সারাবছরই সে একই কাজ করবে। টেইলর প্রবীণদের প্রয়োজনীয় কাপড়, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং থাকার জন্য দরকারি বিছানা একসঙ্গে করে একটি ব্যাগে ভরে। তার সেই ব্যাগের নাম ‘হিরো ব্যাগ’। এই ব্যাগ সে প্রবীণদের কাছে পৌঁছে দেয়।