গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত

10

টানা অষ্টম রাতের মতো ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। দক্ষিণ ইসরায়েলে রকেট হামলার অভিযোগ এনে এই হামলা চালানো হয়। এদিকে গাজার শাসক দল হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে বিস্ফোরক ভর্তি বেলুন পাঠানো ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
দেশটির প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এই ব্যর্থতা যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি এবং নিজ ভূমিতে ফেরার দাবিতে ২০১৮ সালে গাজার ইসরায়েলি সীমান্তে তীব্র বিক্ষোভে নামে ফিলিস্তিনি নাগরিকেরা। ওই বিক্ষোভের মধ্যে প্রথমবারের মতো অস্ত্র হিসেবে বিস্ফোরক বাধা বেলুন ও ঘুড়ির ব্যবহার দেখা যায়। এতে ইসরায়েলের বেশ কিছু খামার ও বসতিতে আগুন ধরে যায়। এসব বেলুন ও ঘুড়ি পাঠানোর জন্য গাজা উপত্যকার নির্বাচিত শাসকগোষ্ঠী হামাসকে দায়ী করে থাকে ইসরায়েল। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সা¤প্রতিক সময়ে এ ধরনের বেলুন ও ঘুড়ির ব্যবহার বেড়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিমান ও অন্যান্য বিমানের মাধ্যমে গাজা উপত্যকায় হামাসের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, আজ রাতে আরও আগের দিকে একটি রকেট ছোড়া হয় এবং দিনের বেলা গাজা উপত্যকা থেকে বিস্ফোরক ও আগ্নেয় বেলুন ইসরায়েলি ভূখন্ডে পাঠানো হয়। এর জবাবে গাজা উপত্যকায় চালানো হামলায় হামাসের বিশেষ একটি সামরিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
হামাসের নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ও ড্রোন হামাসের কাসেম ব্রিগেডের কয়েকটি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় হামাসের সামরিক শাখাটির নিরাপত্তা অবস্থানের মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে কারোর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
গত এক সপ্তাহ ধরে গাজা উপত্যকা ঘিরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা নিরসনে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মিসরের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।