গাছের মতো উপকারী বন্ধু আর কেউ নেই

45

সবুজ বৃক্ষ, নির্মল পরিবেশ, বঙ্গবন্ধু’র বাংলাদেশ এই শ্লোগানকে সামনে নিয়ে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন ও চারা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপন ও চারা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেযারম্যান ক্যশৈহ্লা। এসময় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মো. মোজাম্মেল হক বাহাদুর, বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. কাউছার সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক জনি সুশীলসহ জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. কাউছার সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক জনি সুশীল বলেন, মুজিব বর্ষের আহবান ৩টি করে গাছ লাগান এই শ্লোগানকে সামনে নিয়ে আমরা বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনায় বান্দরবানে এই বৃক্ষরোপন ও চারা বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছি এবং আমরা পুরো বান্দরবান জেলায় বিনামুল্যে ১০হাজার বনজ, ফলজ ও ঔষধি চারা বিতরণ করবো এবং সবুজ বৃক্ষ,নির্মল পরিবেশ,বঙ্গবন্ধু’র বাংলাদেশ এই শ্লোগানকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাব। এদিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা সবাইকে বৃক্ষরোপণ আন্দোলনে অংশগ্রহনের আহবান জানিয়ে বলেন, শুধু গাছ লাগালে চলবে না, গাছের সঠিক পরিচর্যা করতে হবে। ইচ্ছামতো বন নিধন করা যাবে না। গাছ না থাকলে অক্সিজেন তৈরি হবে না। আর অক্সিজেন না থাকলে মানুষ বাঁচবে না। তাই গাছের মতো উপকারী বন্ধু আর কেউ নেই। তিনি বলেন, প্রকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন অন্যতম দায়ী। তাই নিজেদের জন্য যেখানে খালি জায়গা পাওয়া যাবে সেখানে গাছ লাগাতে হবে। পাহাড়ে ঘন ঘন পাহাড় ধসে মানুষের জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
ঘরবাড়ীসহ ভিটেমাটি হারাচ্ছে মানুষ। পাহাড় ধসের একমাত্র কারণ হচ্ছে পাহাড়ে গাছ না থাকা। যে সব পাহাড়ে গাছপালা নেই সেসব পাহাড় ধস নেমেছে। তাই পাহাড় ধস থেকে নিজেদের রক্ষার জন্য বাড়ীর আশে পাশে প্রচুর পরিমানে গাছ লাগাতে হবে। পর্যটন শহরের সড়কের সৌন্দর্য বর্ধনসহ ছায়া যুক্ত সড়ক এবং সড়কের স্থায়ীত্ব রক্ষায় বৃক্ষ রোপন করা খুবই প্রয়োজন মনে করেন তিনি।