গণ-অধিকার ফোরামের প্রতিবাদ সভা

84

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি দেশ ও জাতিকে নিয়ে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পিঁয়াজ, রসুন, আদা ও চাউলের বাজার নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ হয়ে জনগণের উপর স্টিমরোলার চালাচ্ছে। নিরীহ বাংলাদেশের জনগণ আজ বড়ই দিশেহারা। মনে হচ্ছে আমরা ৭৪ দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এই অবস্থা থেকে উত্তোরনে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বাণিজ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ জরুরী। গত ১৭ নভেম্বর রবিবার সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম গণ-অধিকার ফোরামের চকবাজারস্থ কার্যালয় চত্বরে ফোরামের মহানগর সভাপতি প্রবীন রাজনীতিবিদ আবু মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক এএইচ সিদ্দিকী সেলিমের পরিচালনায় প্রতিবাদ ও বিনামূল্যে অসহায়, বস্তিবাসী ও গরীব মানুষের নিকট পিঁয়াজ বিতরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণ-অধিকার ফোরামের চেয়ারম্যান প্রবীন রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। প্রতিবাদ সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে গণ-অধিকার ফোরামের মহাসচিব রাজনীতিবিদ এম.এ হাশেম রাজু বলেন, সাধারণ মানুষ আজ পিঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়ে বিপদকাল অতিক্রম করছে। এটি জনগণের জন্য বড়ই দূর্ভাগ্যের বিষয়। জনগণকে নিয়ে চিনিমিনি খেলার অধিকার কারো নেই। এদেশের সাধারণ জনগণ নিরাপদে বসবাস করুক ইহা সাংবিধানিক অধিকার।
আজ সেই অধিকার থেকে ১৬ কোটি মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ৩০ টাকার পিঁয়াজ ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মনে হচ্ছে দেখার কেউ নেই। দেশটাকে কালোবাজারী ও সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সরকার যদি একজন কালোবাজারীকে গ্রেফতার করতো তাহলে বুঝতাম সরকার জনগণের সাথে আছেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গণ-অধিকার ফোরামের ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, মোহাম্মদ নুরুল হাকিম লোকমান, মোহাম্মদ খোরশেদ আলম চৌধুরী, অধ্যাপিকা রাজিয়া সুলতানা খান, যুগ্ম মহাসচিব কাউন্সিলর দোস্ত মোহাম্মদ, মোহাম্মদ ইসমাইল, মোহাম্মদ সোলায়মান বাদশা, মোহাম্মদ ইউসুফ, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ দোহাজারী, সহকারী মহাসচিব মোহাম্মদ নুরুন্নবী, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন শাহেদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক একেএম আবুল কাশেম, সহ-অফিস সম্পাদক মোহাম্মদ আকতার হোসেন প্রমূখ। পিঁয়াজ বিতরণের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস আগামীকালও চকবাজারস্থ ফোরামের কার্যালয়ে সকাল ১০টায় শুরু হবে। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সুরের মূর্ছনা খেলে যায় উপস্থিত শ্রোতাদের মাঝে। এছাড়াও সংগীত পরিবেশন করেন তন্দ্রা সিংহ, লুপর্না মুৎসুদ্দী, তাসনিম যারীন ইসমি, মিকাতুন জান্নাত, মো: মহিউদ্দিন শাহীন, মিতা নুর, অনন্যা সেন নিপা, সুকুমার দে। যন্ত্রশিলী হিসেবে ছিলেন তবলায় লিটন মিত্র, কী-বোর্ড রুমেল শীল ও নয়ন বিশ্বাস, একাষ্টিক গীটার শুভ বড়–য়া, বাঁশি মানিক কুমার দাস, ঢোলক শিবু জলদাস, অক্টোপ্যাড কুশলব শীল জুই, বেইজ গীটার তন্ময় দত্ত। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আশরাফ মাসুদ। বিজ্ঞপ্তি