গণসংযোগে হামলা ও পুলিশের গ্রেপ্তার বন্ধের দাবি

27

সেনাবাহিনী মোতায়েনের পরও চট্টগ্রামের বিভিন্ন আসনে ধানের শীষের গণসংযোগে সন্ত্রাসী হামলা ও পুলিশি গ্রেপ্তার অব্যাহত থাকায় রিটার্নিং অফিসার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছে নগর বিএনপি। বিভিন্ন আসনে ধানের শীষের গণসংযোগে পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের হামলা, গ্রেপ্তার, বাসা-বাড়িতে হামলা, ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ সুনির্দিষ্ট ১২টি ঘটনা উল্লেখপূর্বক চট্টগ্রামের রিটার্নিং অফিসার বরাবরে অভিযোগ দিয়ে অবিলম্বে এ সব ঘটনার বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট এ এস এম বদরুল আনোয়ার স্বাক্ষরিত এ অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা সত্তে¡ও ধানের শীষের প্রচার-গণসংযোগ দমন করতে পুলিশ গ্রেপ্তার ও আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার মাত্রা বেড়েই চলছে। ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরির জন্য সারাদেশের মতো চট্টগ্রামের বিভিন্ন আসনে পরিকল্পিতভাবে একের পর এক হামলা চালিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন আসন থেকে কমপক্ষে ২৫ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে কয়েকটি ঘটনার উল্লেখ করে বলা হয়, ‘মঙ্গলবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম-১১ আসনের প্রার্থী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে চট্টগ্রাম-৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থীর সমর্থনে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের অংশগ্রহণে গণসংযোগ চলাকালে পেছন থেকে নগ্ন হামলা করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এ ন্যাক্কারজনক হামলায় মহিলা দল নেত্রীসহ ৫ জন আহত হন। পুলিশ যুবদল নেতা হেলালসহ কমপক্ষে ৪ জনকে আটক করে। চট্টগ্রাম-৪ আসনের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে পঙ্গু ব্যক্তিসহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। চট্টগ্রাম-৮ আসনে ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিএনপির দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। চট্টগ্রাম-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থীর কার্যালয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ধানের শীষের নির্বাচনী অফিসে যুবলীগ সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর করে। চট্টগ্রাম-১২ আসনে পটিয়া সদরে ধানের শীষের গণসংযোগে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় বিএনপির চার নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন।’
অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর অব্যাহত দমন-নিপীড়নের ঘটনায় নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নীরবতার কারণে সরকারের অনুগত পুলিশ বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর এসব সন্ত্রাস-নির্যাতন বন্ধ হবে বলে জনমনে প্রত্যাশা থাকলেও পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। এসব সন্ত্রাসী কার্যক্রম নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অগ্রহণযোগ্য করার পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশের উপর হুমকি সৃষ্টি করছে।’
অভিযোগপত্রে স্বচ্ছ, প্রভাবমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে ধানের শীষের প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, প্রচার-গণসংযোগ নির্বিঘœ করা, সকল ধরনের গ্রেপ্তার-মামলা ও হুমকি-ধমকি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দাবি জানানো হয়।