গণপরিবহন নয় ঈদে বন্ধ থাকবে পণ্য পরিবহন

60

কোরবানির ঈদের আগে-পরে নয় দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও কোরবানির পশু পরিবহনের যানবাহন ছাড়া পণ্য পরিবহনের অন্য সব যান বন্ধ রাখবে সরকার; এই সময় গণপরিবহন চলাচল অব্যাহত থাকবে। ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে লঞ্চ, ফেরি, স্টিমার চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ কর্মপন্থা নির্ধারণ নিয়ে গতকাল বুধবার সচিবালয়ে এক বৈঠকের শুরুতে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ঈদের আগে-পরে ৯ দিন গণপরিবহন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছিলেন। তবে সভা শেষে তিনি বলেন, ‘ঈদের আগে-পরে নয় দিন পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকবে। ঈদের আগের পাঁচ দিন ও পরের তিন দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও কোরবানির পশুর ট্রাক ছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ফেরিতে চলাচল বন্ধ থাকবে। নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলবে কিন্তু পণ্যবাহী জাহাজ চলবে না’।
সভার শুরুতে প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছিল।
আগের বক্তব্য থেকে সরে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বৈঠকে ওই প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছিল। তবে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলবে, কিন্তু পণ্যবাহী জাহাজ চলবে না’।করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কোরবানির ঈদে সব চাকরিজীবীকে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা ইতোমধ্যে দিয়েছে সরকার। গণপরিবহন সীমিত পরিসরে চলাচল করায় ঈদের সময় সিদ্ধান্ত কী হবে, তা জানতে সবার আগ্রহ রয়েছে।
সাংবাদিকদের অনুরোধে বুধবারের সভার শুরুতে ব্রিফিং করেছিলেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ। ওই সময় তিনি বলেন, ‘ঈদ-উল আযহার সময় জনগণের যাতায়াত সীমাবদ্ধ করার নিমিত্তে ঈদ-উল আযহার পাঁচদিন পূর্ব থেকে তিন দিন পর পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধ রাখার প্রজ্ঞাপন আদেশ প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। মানে ঈদের আগের পাঁচদিন এবং পরের তিন দিন আমাদের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। এটা সরকারের পক্ষ থেকে এটা একটা প্রজ্ঞাপন পেয়েছি আমরা, সেটা আমরা জানিয়ে দিলাম, সে আলোকেই আমরা পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করব। যারা ঈদে (বাড়ি) যেতে চায় তাদের পাঁচ দিন পূর্বে যেতে হবে এবং যারা আসতে চায় (ঈদের) তিন দিন পরে আসতে হবে। সরকার ইতোমধ্যে বলেছে, কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী তার স্টেশন লিভ করতে পারবে না’।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামি ৩১ জুলাই বা ১ আগস্ট কোরবানির ঈদ হবে। ৩১ জুলাই এবং ১ ও ২ আগস্ট ঈদের ছুটি নির্ধারণ করা আছে।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পর গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, আগামি ৬ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা আছে। আর গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত টানা সাধারণ ছুটির পর ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে অফিস চলছে। আগামি ৩ আগস্ট পর্যন্ত এভাবেই অফিস চলবে বলে সরকারি সিদ্ধান্ত রয়েছে।
মহামারির মধ্যে রোজার ঈদের সময় বিধিনিষেধ অনেক শিথিল করায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। রোজার ঈদের পর শুধু জুন মাসেই রোগীর সংখ্যা ১ লাখ বেড়ে যায়। দেশে এখন শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ২ লাখের কাছে পৌঁছেছে। এর মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ১৩ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক আদেশে করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে কোরবানির ঈদের ছুটিতে সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবশ্যই কর্মস্থলে অবস্থানের নির্দেশ দেয়। খবর বিডিনিউজের