খোরশেদ-বাবুলে বিভক্ত ভোটাররা

51

একদফা পেছানোর পর আগামিকাল রবিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। তৃতীয় ধাপে এ উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা থাকলেও ব্যালট পেপার জটিলতায় এক প্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হলে একধাপ পিছিয়ে যায় ভোট। রবিবার সকাল থেকে ৬১টি ভোটকেন্দ্রের ৫০৯টি কক্ষে ১ লক্ষ ৯০ হাজার ৪৭২ ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থীদের নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রদান করবেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে চারজন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জামায়াত অধ্যুষিত লোহাগাড়ায় বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে না আসলেও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী। চেয়ারম্যান পদে মূলত খোরশেদ-বাবুলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়েই ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ বেশি। এ দুই প্রার্থীকে কেন্দ্র করে বিভক্ত হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগসহ স্থানীয় ভোটাররা।
জানা যায়, চেয়ারম্যান পদে এ উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (আওয়ামী লীগে নতুন যোগদান) জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল (আনারস) ও এসএম ছলিম উদ্দিন চৌধুরী খোকন (দোয়াত কলম) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মিজানুর রহমান (মাইক), এম ইব্রাহিম কবির (টিউবওয়েল), এমএস মামুন (চশমা), আরমান বাবু রোমেল (তালা)। মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে পারভিন আকতার (প্রজাপতি), জেসমিন আকতার (কলসি), জেসমিন আকতার (ফুটবল), শাহিন আকতার (হাঁস) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান পূর্বদেশকে বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে দুইজন করে পুলিশ সদস্য ও সাধারণ কেন্দ্রে একজন পুলিশ সদস্য সাথে প্রতিকেন্দ্রে ১২ জন করে আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও ১৫৮৮ জন প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা ভোটগ্রহণে দায়িত্বে থাকবেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ লোহাগাড়া উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও বাতিল হওয়া এক প্রার্থীর নামে ব্যালট হওয়ায় আরেক প্রার্থী উচ্চ আদালতে রীট করেন। রীটের প্রেক্ষিতে আদালত নির্বাচন স্থগিত করার রায় দেন। পরবর্তীতে জটিলতা কেটে গেলে নির্বাচন কমিশন চতুর্থ ধাপে অর্থাৎ আগামিকাল রবিবার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত দেন।
জানা গেছে, লোহাগাড়ায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী উত্তাপ বিরাজ করছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দ্বি-ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম নৌকা প্রতীক পেয়ে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও তাকে মোটেই ছাড় দিতে নারাজ সাবেক এলডিপি নেতা জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল। আওয়ামী লীগের একটি অংশ বাবুলের পক্ষে নির্বাচনী মাঠে সরব আছেন। তাকে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা ইন্ধন জুগিয়ে যাচ্ছেন বলে এলাকায় প্রচার আছে। কয়েকজন চেয়ারম্যানও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরোধিতা করছেন।