খেজুর রস আহরণে ব্যস্ততা গাছিদের

16

ঋতুর পালাবদলে অগ্রহায়ণের শুরুতে প্রকৃতিতে দৃশ্যমান হচ্ছে শীতের স্বেত-শুভ্র আবহ। শীত মৌসুমের প্রারম্ভে খেজুর রস আহরণের জন্য ব্যস্ত হয়েছে পড়েছে চন্দনাইশ উপজেলার গাছিরা। আটঘাট বেঁধে গাছিরা খেজুর গাছ পরিষ্কার ও নলি বসানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। খেজুর রস আহরণ মূলত শীত মৌসুমে শুরু হয়ে একটানা চলে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত। উপজেলার জামিজুরি, লালুটিয়া, লট এলাহাবাদ ও ধোপাছড়ি এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গাছিরা এ শীত মৌসুমে খেজুরের রস আহরণের জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিশেষ করে, গাছিদের মধ্যে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে শুরু হয়েছে খেজুর গাছ ঝোড়া। গাছের বাকল কেটে গাছ ঝোড়া করা হয়। গাছ ঝোড়া শেষে গাছ কাটার পালা। খেজুরের রস পেতে হলে বেশ কিছু কাজ করতে হয়। গাছের উপরিভাগের নরম অংশকে কেটে বসিয়ে দেওয়া হয় বাঁশের তৈরি নালা।
পাশাপাশি পাখি বা অন্যান্য রস খেকো প্রাণিরা যাতে রস খেতে না পারে এবং রসে কোনো জীবাণু ছড়াতে না পারে সেজন্য জাল দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়। গাছের কাটা অংশ থেকে চুইয়ে চুইয়ে রস এনে নল দিয়ে ফোটায় ফোটায় জমা হয় কলস বা হাঁড়িতে। একবার গাছ কেটে কয়েক দিন বিরতির পর পর গাছিরা পুনরায় গাছ কাটেন। একবার গাছ কাটার পর ৩/৪ দিন রস পাওয়া যায়। রসের জন্য গাছ একবার কাটার পর সপ্তাহখানিক বিরতি দেয়া হয়। রোদে কাটা অংশ শুকিয়ে গেলে আবারও নির্দিষ্ট অংশ সামান্য কেটে রস সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। সাধারণত এ কারণে গাছিরা খেজুর গাছ সূর্যের আলোর দিক করে কেটে থাকেন।উপজেলার জামিজুরি এলাকার গাছিরা জানান, গাছের সংখ্যা যেভাবে দিন দিন কমে যাচ্ছে, সেভাবে নতুন করে খেজুর গাছ রোপণ করা হচ্ছে না। ফলে এক সময় শীত মৌসুমে গ্রাম বাংলার রসনায় তৃপ্তি দেয়া এ সুমিষ্ট খেজুরের রস হারিয়ে যাবে।