খুলে দেওয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি স্পিলওয়ে

72

টানা বর্ষণ ও ভারতের মিজোরাম থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির কারণে কাপ্তাই লেকে পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়া, কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ধারণ ক্ষমতার কাছাকাছি যাওয়ায় বাঁধ রক্ষার স্বার্থে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি স্পিলওয়ে দিয়ে পানি ছাড়া হচ্ছে।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এ টি এম আব্দুজ্জাহের জানান, স্বাভাবিক নিয়মে বর্তমান সময়ে কাপ্তাই হ্রদে ৮৬ দশমিক ৪০ এমএসএল (মিনসি লেভেল) পানি থাকার কথা থাকলেও তা ১৯ দশমিক ৯ ফুট বেড়ে গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় ১০৬ দশমিক ৭৮ এমএসএল পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদিকে কাপ্তাই বাঁধে পানির ধারণ ক্ষমতা সর্বোচ্চ ১০৯ এমএসএল হওয়ায় বাঁধ রক্ষায় ১৬ টি স্পিলওয়ে দিয়ে কাপ্তাই হ্রদ হতে কর্ণফুলী নদীতে ৬ ইঞ্চি করে সব মিলিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ২৭ হাজার কিউসিক পানি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
ব্যবস্থাপক জানান, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪টি ইউনিট চালু রেখে টারবাইনের মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে আরো ২৪ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে ফেলা হচ্ছে। এতে বর্তমানে সর্বোচ্চ ১৬৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে।
এদিকে কাপ্তাই লেকের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙামাটি শহর, বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর, বিলাইছড়ি, লংগদুসহ বরকল উপজেলার তীরবর্তী প্রায় ১৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি কাপ্তাই বাঁধের পানি ছাড়ায় এবার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, হাটহাজারি, বোয়ালখালী, ফটিকছড়িসহ কয়েকটি উপজেলা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
অপর দিকে কাপ্তাই লেকে পানি বাড়ার কারনে গতকাল বুধবার বিকালে ডুবে গেছে পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ রাঙামাটি পর্যটন ঝুলন্ত সেতু। পর্যটন কর্তৃপক্ষ ঝুলন্ত সেতুতে চলাচল না করতে দর্শণার্থীদের আহবান জানিয়ে শতর্কতামূলক নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছে।
এব্যাপারে পর্যটন মোটেল ব্যবস্থাপক সৃজন কান্তি বড়–য়া বলেন, গত কয়েক দিনের টানা ও ভারী বর্ষণে ধারণ ক্ষমতার বাহিরে লেকের পানি বেড়ে যাওয়ায় পর্যটন ব্রিজের উপর প্রায় দেড় ফুট পানি উঠেছে। যার কারণে কর্তৃপক্ষ ব্রিজের উপরে সকল ধরনের চলাচল নিষেধ করে শতর্কতামূলক নোটিশ জারি করে। ব্রিজের পানি না নামা পর্যন্ত পর্যটকদের চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।