খুলছে আরব আমিরাতের শ্রমবাজার অনটাইম গভর্নমেন্ট সার্ভিসের সাথে

92

দীর্ঘ দিন আরব আমিরাতের সাথে বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধ থাকায় বিদেশি রেমিটেন্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশের জনশক্তি রপ্তানিতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছিল। অবশেষে আশার আলো জ্বালিয়ে দুবাইভিত্তিক অনটাইম গর্ভমেন্ট সার্ভিসের সাথে স্মার্ট গ্রুপ ও ইউনিক গ্রুপের সাথে সমঝোতা স্বাক্ষর জনশক্তি রপ্তানিতে আবার গতি ফিরে আসবে। মধ্যপ্রাচ্যের আরব আমিরাতে বহু বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করতো। মুসলিম দেশ হিসেবে আরব আমিরাতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক বরাবরই সুখকর ছিল। বিগত ৬ বছর পূর্বে আরব আমিরাতে বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে বিদেশি রেমিটেন্স কমে আসে। দেশের অর্থনীতিতে এর প্রভাবও পড়ে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বিদেশ মন্ত্রণালয় আমিরাতের শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা মুহ‚র্তের জন্যও শিথীল করেনি। যার ফলে দীর্ঘ ৬ বছর পর আবার আরব আমিরাতে বাংলাদেশি শ্রমবাজার খোলার লক্ষে দুবাই ভিত্তিক অনটাইম গর্ভমেন্ট সার্ভিস ও দেশের দু’শিল্পগ্রুপ স্মার্ট ও ইউনিকের মধ্যে জনশক্তি রপ্তানি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটে অনটাইম বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি প্রক্রিয়ায় কাজ করবে। ঢাকায় অনটাইমের সাথে কাজ করবে ইউনিক, আর চট্টগ্রামে কাজ করবে দেশের স্বনামধন্য শিল্প গ্রুপ স্মার্ট। সবচেয়ে সুখকর বিষয় হলো বৃহত্তর চট্টগ্রামের মানুষকে আরব আমিরাতে পাড়ি দেয়ার জন্য রাজধানী ঢাকায় দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না। চট্টগ্রামের মানুষ চট্টগ্রাম থেকেই কর্মসংস্থানের এসুযোগ লাভ করবে। দেশের দু’শিল্প গ্রুপের সহায়তায় জনশক্তি রপ্তানি প্রক্রিয়ায় ৪ লাখ বাংলাদেশির কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। দেশের অর্থনীতির জন্য একটা বিশাল ইতিবাচক দিক হিসেবে এ প্রক্রিয়াকে ধরে নেয় যায়। অনটাইমের কাজ শুরু হলে এখানকার ভিসা প্রত্যাশীদের চট্টগ্রামেই সেবা প্রদান করবে স্মার্ট গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
চট্টগ্রামের মানুষের জন্য এটা একটি সুখকর বিষয়। এ প্রতিষ্ঠান আমিরাত গামী সকল চট্টগ্রামবাসীর ভিসা প্রসেসিং, মেডিকেল, টিকেটসহ যাবতীয় সেবায় সহায়তা করবে। বৃহত্তর চট্টগ্রামের লোকের এ প্রক্রিয়ায় অনেক টাকা সাশ্রয় হবে। খুবই বিশ্বস্ততার সাথে স্মার্ট ও ইউনিক গ্রুপ দেশের জনশক্তি রপ্তানিতে সফল ভাবে ভ‚মিকা রাখবে এমন ধারণা সমগ্রদেশবাসীর। বিদেশ মন্ত্রণালয়, জনশক্তি রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে খুবই বিশ্বস্ততার সাথে কাজ করে দেশের এই দু’শিল্পগ্রুপ আবার বিদেশের শ্রমবাজার চাঙ্গা করে তুলবে- এমন ধারণা সমগ্র বিদেশগামী নাগরিকের।