খাস জায়গার বাগানে আগুন দিয়েছে বন বিভাগ

48

রাঙামাটি পার্বত্য জেলাধীন রাজস্থলী উপজেলার অন্তর্গত ৩২০কাকড়াছড়ি মৌজা বাঙ্গালহালিয়া নামক এলাকায় অত্র মৌজার খতিয়ান নং-১, দাগ নং-যথাক্রমে-৮,৯,১৬৩৩ ও ২০৮৮ অন্দরে রাঙামাটি এগ্রো সমিতি লিমিটেড এর ৩২জন মিলে উক্ত জায়গা পেতে জেলা প্রশাসনের বরাবরে পৃথক পৃথক আবেদন করে রেখেছেন। ওই ৩২জন মিলে রাঙামাটি এগ্রো সমিতি লিমিটেড নামে একটি সমিতি করে, পরে তারা ওই খাস জমিতে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক ফলজ, বনজ এবং ওষুধি গাছের বনায়ন করে। যদিও জায়গাটি খাস কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে ওই জায়গা তাদের দখলে আছে মর্মে দাবি করে আসছে তারা।রাঙামাটি এগ্রোসমিতি লিমিটেড এর লোকজন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে প্রায় ৬০একর জমিতে বনায়ন করা হয় এবং অবশিষ্ট ১০৫ একর জমিতে সদস্যদের অর্থের বিনিময়ে বনায়ন করা হয়েছে। যা একটি সুন্দর সুবিশাল বাগানে পরিনত হয়। এত সুন্দর সুবিশাল বনায়নে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে কাপ্তাই পাল্পউড বন বিভাগ। এতে রাঙামাটি এগ্রো সমিতি লিমিটেডের ৩২সদস্যের প্রায় ৩কোটি টাকার বনায়ন আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। এগ্রো সমিতি লিমিটেডের সদস্য ফরিদ ও জাকির বলেন,আমরা এই ৩২জন সদস্য দীর্ঘ ১৫-১৬ বছর ধরে জায়গার দখলে আছি। আমাদের বনায়নে বনজ,ফলজ ও ওষধি গাছ লাগিয়েছি। তা পরিচর্যা করে বড় করেছি। দেশে যখন করোনা মহামারি চলছে ঠিক সে সময়ে কাপ্তাই পাল্পউড বন বিভাগ কর্তৃক আগুন লাগিয়ে আমাদের বনায়ন ধ্বংস করে দেয়। এতে আমাদের প্রায় ৩ কোটি টাকার মত ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তারা বলেন, এব্যাপারে চন্দ্র ঘোনা থানায় বন বিভাগের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশ তদন্ত করে বাগান ধ্বংসের আলামত পাওয়া গেছে। ফরিদ ও জাকির আরো বলেন, জায়গাটি খাস ছিল আমরা ৩২জনে জেলা প্রশাসনের বরাবরে বন্দোবস্তির জন্য আবেদন করেছি। সেটি পক্রিয়াধীন রয়েছে। এদিকে রাঙামাটি এগ্রো সমিতি লিমিটেডের সদস্য এ এইচ এম নাজমুল হক বাদী হয়ে কাপ্তাই পাল্পউড বন বিভাগীয় কর্মকর্তা রুহুল আমিনকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে এ্যাডভোকেট এএসএম সাইফুল ইসলাম পনির। কাপ্তাই পাল্পউড বন বিভাগীয় কর্মকর্তা রুহুল আমিন ও বাঙ্গালহালিয়া বনবিট কাম ষ্টেশন কর্মকতা রেজাউলকে এব্যাপারে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন, লকডাউন চলছে তাই কথা বলতে পারবো না। রেজাউলকে ফের ফোন দেওয়া হলে সে ফোন রিসিভ করেনি।