খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ

69

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও মানহানির দুই মামলায় বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া জামিন পাবেন কিনা, তা জানা যাবে আজ মঙ্গলবার। জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গতকাল সোমবার বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার আদেশের জন্য রাখেন। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফজলুর রহমান খান। কায়সার কামাল পরে বলেন, ‘মানহানি ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের দুই মামলায় জামিন আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামিকাল আদেশের জন্য রেখেছেন আদালত’।
২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্ম নিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের কাছে কোনো ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেছে। হিন্দুদের ওপর হামলা করেছে’। খবর বিডিনিউজের

খালেদা জিয়ার ওই বক্তব্য যেমন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে, তেমনি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে শ্রেডুগত বিভেদ সৃষ্টি করেছে- এমন অভিযোগ তুলে ওই বছরের ২১ অক্টোবর জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি আদালতে যে মানহানির মামলা হয়, তার বাদিও এ বি সিদ্দিকী।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ সরকার নিয়ে কটূক্তি করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। দুই মামলাতেই গত বছরের ৩০ জুন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় শাহবাগ থানা পুলিশ। দুই তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গত ২০ মার্চ খালেদাকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করে আদালত। এরপর খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। গত ২২ মে জামিন আবেদন দু’টি আদালতে উপস্থাপন করা হলে গতকাল সোমবার শুনানির জন্য রাখা হয়েছিল।