খালেদার জামিনের বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার : তথ্যমন্ত্রী

25

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ার। এখানে সরকারের কোন করণীয় নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা ২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আদালত যদি মনে করেন, তবে জামিন দিবেন। আর যদি মনে করেন, তিনি (খালেদা) জামিন পাওয়ার যোগ্য নন, তাহলে জামিন দেবেন না। এটি একান্তই আদালতের ব্যাপার, সরকারের কোন বিষয় নয়।
শেখ হাসিনাকে একজন সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১১ বছরে মিডিয়ার এক্সপোনেন্সিয়াল গ্রোথ হয়েছে, যেটি অভূতপূর্ব।
যেখানে ১১ বছর আগে সাড়ে চারশ দৈনিক পত্রিকা ছিল, এখন সেটি ১২৫০-এ উন্নীত হয়েছে। ১১ বছর আগে যেখানে টেলিভিশন চ্যানেল ১০টি ছিল, এখন সেটি ৩৪টিতে উন্নীত হয়েছে। ১১ বছর আগে যেখানে হাতেগোনা কয়েকটি অনলাইন পত্রিকা ছিল, এখন রেজিস্ট্রেশনের জন্য সাড়ে ৩ হাজার অনলাইন পত্রিকা আবেদন করেছে। আইপিটিভির জন্য প্রায় ৫০০ আবেদন জমা পড়ে আছে। খব বার্তা সংস্থার
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১১ বছরে মিডিয়ার এক্সপোনেন্সিয়াল গ্রোথ হয়েছে, যেটি অভূতপূর্ব। অনেক দেশে পত্রিকার সংখ্যা কমেছে গত ১০-১১ বছরে। ইউরোপের অনেক দেশে পত্রিকার সংখ্যা কমেছে। সরকারের গণমাধ্যমবান্ধব নীতির কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। এর সঙ্গে নানা চ্যালেঞ্জ যুক্ত হয়েছে, যেগুলো আপনারা মোকাবিলা করছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার পর আপনাদের পক্ষ হয়ে আপনাদের দৃষ্টিতে আমি পুরো বিষয়টাকে দেখার চেষ্টা করেছি। প্রথম থেকেই আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে, আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার চেষ্টা করেছি। আপনারা জানেন, অন্যান্যবার ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করা এত বড় চ্যালেঞ্জ ছিল না। এবার নবম ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করাটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। হাইকোর্টে কিন্তু সেটা নিয়ে মামলা চলছে। এই মামলা ভালোমতো মোকাবিলা করার জন্য আমি অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা বলেছি। মন্ত্রণালয় থেকে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ে আগে প্যানেল আইনজীবী ছিল না, আমি আসার পর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা সেটা মোকাবিলা করছে, যাতে মামলার বেড়াজালে এটি আটকে রাখতে না পারে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, সংবাদপত্রে যারা বিনিয়োগ করেন, সেখানে সাংবাদিকরা যদি কাজ না করেন, তাহলে সেই সংবাদপত্র চলবে না। সুতরাং সংবাদপত্র টিকিয়ে রাখেন সাংবাদিকরা। তাদেরকে বঞ্চিত করে কোনও সংবাদপত্রের সমৃদ্ধি আসতে পারে না। সেজন্য আমি মনে করি, নবম ওয়েজবোর্ড যেটা ঘোষণা করা হয়েছে, সেটি অবশ্যই পালন করা উচিত।
খালেদা জিয়ার মামলার জামিন প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার রায় হবে আজকে। খালেদা জিয়ার রায় তো আদালতের ব্যাপার। সরকারের কোনও কিছু করার নেই এখানে। আদালত যদি মনে করেন তাকে জামিন দেবেন। এটি একান্তই আদালতের ব্যাপার। এটি সরকারের কোনও বিষয় নয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।
এসময় তথ্যমন্ত্রী জানান, গণমাধ্যমকর্মী আইন সহসাই মন্ত্রিপরিষদে উঠবে। বর্তমানে সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে আছে। সেখান থেকে তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠালে সেটি মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।