খালেদাকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে নেয়ার চিন্তা অমানবিক : রিজভী

32

পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কারাগারে বন্দি খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জের কারাগারে স্থানান্তরের বিরোধিতা করেছে তার দল বিএনপি। দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছে সরকার।
দুর্নীতির দুটি মামলায় দন্ড নিয়ে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের পরিত্যক্ত কারাগারে একমাত্র বন্দি হিসেবে এক বছরের বেশি সময় ধরে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। বিএনপি নেতারা বলে আসছেন, পরিত্যক্ত কারাগারের স্যাঁতস্যাঁতে ভবনে রেখে তাদের নেত্রীকে আরও অসুস্থ করছে সরকার। চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পর ঘটনাস্থলের কাছেই অবস্থিত ওই কারাগারে বন্দি খালেদার নিরাপত্তা নিয়েও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছিলেন তারা। খবর বিডিনিউজের
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বুধবার জানান, পুরনো কারাগারটি জাদুঘরে রূপান্তরের কাজ শিগগিরই শুরু করা হবে বলে খালেদা জিয়াকে সেখান থেকে কেরাণীগঞ্জের কারাগারে সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছেন তারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন করে রিজভী বলেন, ‘যখন গোটা জাতি তার মুক্তির জন্য, তার সুচিকিৎসার জন্যে সোচ্চার, দেখুন তখন জনগণের কাছে জবাবদিহিহীন সরকার কি কথা বলছেন; কত বড় অমানবিক হতে পারেন তারা’।
নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দুই বছর আগে সব বন্দিকে কেরাণীগঞ্জের নতুন কারাগারে সরিয়ে নেওয়া হয়। কেরাণীগঞ্জের ‘অত্যাধুনিক’ কারাগারে ‘সবকিছুই সুসম্পন্ন’ হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানালেও সেখানে ‘সুবন্দোবস্ত’ নেই বলে দাবি করেন রিজভী। কেরাণীগঞ্জ কারাগারের নির্মাণ কাজ এখনও শেষ হয়নি, সেখানে গ্যাস-পানির এখনও তেমন কোনো সুবন্দোবস্ত নেই। নির্মাণাধীন একটি কারাগারে স্থানান্তরের সরকারি চিন্তা-ভাবনা মনুষ্যত্বহীন পদক্ষেপ’।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে রিজভীর সঙ্গে ছিলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা তাইফুল ইসলাম টিপু, আবদুল আউয়াল খান, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।