খাদ্যশস্য রপ্তানি ঝুঁকিপূর্ণ হবে : জিএম কাদের

50

উদ্বৃত্ত চাল বিদেশে রপ্তানি করতে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার জন্য ‘বড় মাশুল দিতে হতে পারে’ বলে হুঁশিয়ার করেছেন জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের। তিনি বলছেন, এখন চাল রপ্তানি করা শুরু করলে দুর্যোগের সময়ে বহু দরেও বাজার থেকে আর চাল কেনা যাবে না।
গতকাল শনিবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষকদের মজুরি সমস্যা নিয়ে কথা বলতে আসেন কাদের।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে চাহিদা মেটানোর পর উদ্বৃত্ত থাকায় ৫ থেকে ১০ লাখ মেট্রিক টন বোরো চাল রপ্তানির চিন্তা রয়েছে সরকারের। খবর বিডিনিউজের
কাদের বলেন, দেশে যে পরিমাণ উদ্বৃত্ত চাল থাকুক না কেন, এ মুহূর্তে চাল এক্সপোর্ট করা হবে খুব স্পর্শকাতর সিদ্ধান্ত হবে। যে কোনো বড় দুর্ঘটনার সময় দেশকে হয়ত এ জন্য বড় মাশুল দিতে হতে পারে।
আমরা বলছি না, চাল রপ্তানি বন্ধ করা উচিৎ। কৃষি, কৃষক ও খাদ্য মজুদের কথা চিন্তা করে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার ছিল। আমি বলব, এ মুহূর্তে খাদ্য শস্য রপ্তানি হবে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
দেশে এখন কী পরিমাণ উদ্বৃত্ত চাল আছে, তা জানাতে পারেননি কৃষিমন্ত্রী। তবে সরকার যে হিসাবই দিক না কেন, তা সঠিক পরিসংখ্যান ‘নয়’ বলে মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির নেতা।
তিনি বলেন, সরকারি পরিসংখ্যানে তথ্য সঠিক হয় না। দেশে এখন দুর্ভিক্ষ শুরু হলে কিন্তু মার্কেট থেকে পয়সা দিয়েও চাল কেনা যাবে না।
এদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছেন। ন্যায্য দাম না পেয়ে নিরুৎসাহী কৃষককে ধানে আগুন দিতেও দেখা গেছে টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে।
সরকার মিল মালিকদের কাছ থেকে ধান কেনে বলে কৃষক ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের। পরে তিনি সরকারের কাছে তিন দফা দাবিও উত্থাপন করে।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা, বেসরকারি মালিকাধীন গুদামগুলো সরকারি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে ধান সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত করে তোলা।
জি এম কাদেরের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন জাপার মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আদেলু রহমান আদেল, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আলমগীর শিকদার লোটন, শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও নাজমা আক্তার।