খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের কেজি ৮-১৫ টাকা

60

দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি সর্বনিম্ন ৮ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫ টাকায়। গতকাল সোমবার সকালে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে। নতুন পেঁয়াজের মৌসুম, চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম কমেছে বলে জানান আড়তদাররা।
হামিদুল্লা মার্কেটের মেসার্স বাচা মিয়া সওদাগর আড়তের ম্যানেজার মো. আইয়ুব জানান, ভারতের গত মৌসুমের (পুরনো) নাসিক পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৮-৯ টাকা। লালচে নতুন নাসিক পেঁয়াজ মান ও আকারভেদে ১৩-১৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এ পেঁয়াজগুলো পাতলা চটের বস্তায় এসেছে।
এ ছাড়া ভারতের শুকসাগর পেঁয়াজ (লাল প্লাস্টিক বস্তা) কেজিপ্রতি ৯-১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও চীনা আদা গত সপ্তাহের চেয়ে ৫-১০ টাকা কমে ৯০-৯৫ টাকা, দেশি ও মিয়ানমারের আদা ৫৮-৬০ টাকা, চীনা রসুন ৫৫-৬০ টাকা, ১ দানার দেশি রসুন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খবর বাংলানিউজের
তবে খুচরা দোকানে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম হাঁকা হচ্ছে ২৫-২৮ টাকা। ভ্যানগাড়িতে বিক্রি হচ্ছে নতুন নাসিক ২২ টাকা, পুরনো নাসিক পেঁয়াজ ৫ কেজি ১০০ টাকা। কিশোরগঞ্জের মনোয়ার হোসেন খাতুনগঞ্জের রূপক মল্লিকের আড়ত থেকে পেঁয়াজ কেনেন ২ বস্তায় ৮৮ কেজি। তিনি বলেন, দুই আড়ত থেকে ৪ বস্তা পেঁয়াজ কিনেছি। ৪ বস্তায় ৮ কেজি পচা গেছে। ১২০ টাকার পলিথিন ব্যাগ কিনতে হয়েছে খুচরা বিক্রেতাদের দেওয়ার জন্য। রিকশাভ্যানের ভাড়া ৫০ টাকা। আড়তের কমিশন কেজিতে ৩০ পয়সা। কুলিদের দিতে হয়েছে ৪০ টাকা। তিনি জানান, প্রথম দিকে ২০-২২ টাকা বিক্রি করবো। পরে ১৫ টাকায় বিক্রি করতে হবে। খুব বেশি লাভ হবে না, কোনো রকমে টিকে থাকা।
আড়তদার রাজীব চৌধুরী বলেন, পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি। চট্টগ্রামের মানুষ দেশি পেঁয়াজ, মুড়িকাটা পেঁয়াজ কম কেনেন। সুন্দর পেঁয়াজ বিশেষ করে নাসিক নতুন পেঁয়াজের চাহিদা বেশি। নাসিক পুরনোটা চলছে ওরস, মেজবান, বিয়ের মতো বড় আয়োজন আর হোটেল-রেস্টুরেন্টে।
মো. ইদ্রিস নামের একজন আড়তদার বলেন, চট্টগ্রামে পেঁয়াজের আমদানিকারক নেই। সীমান্ত এলাকার ব্যাপারিরা ট্রাকে করে পেঁয়াজ এনে আড়তে দিয়ে যায়। বিক্রি করে কেজিতে ৫০ পয়সা কমিশন পাই আমরা। ক্রেতার কাছ থেকে কমিশন পাই ৩০ পয়সা। সীতাকুন্ডের ওজন স্কেলের কারণে এক ট্রাকে ১৩ টনের বেশি পেঁয়াজ আনতে না পারায় ব্যাপারিরাও লাভের মুখ দেখছে না।