খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ৩

40

খাগড়াছড়ি জেলা সদরে ১৮ বছরের এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৩ তরুণকে আটক করেছে পুলিশ। গত সোমবার বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের ভুয়াছড়ি গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরে রাতেই তাদের আটক করে পুলিশ।
আটককৃতরা হল আল আমিন (১৭), জাহিদুল (১৬) ও আমিনুল ইসলাম (১৮)। তারা তিনজনই ভুয়াছড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তারা কাঠমিস্ত্রী হিসাবে কাজ করে বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে তরুণীকে উত্যক্ত করছিল বলে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন।
তরুণীর পরিবারের সদস্যরা জানান, সোমবার বিকেলে বাড়ির পাশের জঙ্গলে ছাগল চড়াতে গেলে তরুণীকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তারা ৩ জন। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হলে রাতেই তাদের আটক করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তরুণীকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি মো. সাহাদাত হোসোন টিটো জানান, মঙ্গলবার তরুণী নিজে বাদী হয়ে আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আসামিদের আটক করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মাদক ব্যবসা
খাগড়াছড়ি থানার
এসআই সাইদুর
ক্লোজড
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
খাগড়াছড়িতে জনতার হাতে আটক মাদক ব্যবসায়ীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইদুর রহমানকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে। তিনি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলে অভিযোগ। তবে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, তাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে।
জানা গেছে, গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী অর্জুন বসাককে স্থানীয়রা আটকের পর এসআই সাইদুর রহমানের নাম বেরিয়ে আসে। ইয়াবাসহ জনতার হাতে আটক অর্জুন বসাক জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকার দুলাল বসাকের ছেলে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শাহ আলম জানান, এসআই সাইদুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে মুসলিমপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন। সেখান থেকেই তিনি ইয়াবা ব্যবসা করছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে ৫০টি ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী অর্জুনকে আটক করে স্থানীয়রা। এরপর এসআই সাইদুর রহমানের নাম বেরিয়ে আসে। পুলিশকে ঘটনাটি জানালে পুলিশ এসআই সাইদুর রহমানসহ দুইজনকে থানায় নিয়ে যায়।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি মো. সাহাদাত হোসেন টিটো জানান, মাদকসহ আটক যুবকের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হবে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের এসআই সাইদুর রহমানকে ক্লোজড করা হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রওনক আলম বলেন, পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠায় তাকে ক্লোজড করা হয়েছে। বিভাগীয় তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।