খাগড়াছড়িতে দুই গ্রাম লকডাউন

86

করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে খাগড়াছড়ি পৌরসভায় স্থানীয় তরুণদের উদ্যোগে দুটি গ্রাম ‘লকডাউন’ (অবরুদ্ধ) করা হয়েছে। গত শনিবার থেকে গ্রাম দুটির বাসিন্দারা স্বেচ্ছায় অবরুদ্ধ জীবনযাপন করছেন। গ্রাম দুটি হলো খবংপুড়িয়া ও শব্দমিয়া পাড়া।
সরেজমিনে দেখা যায়, খবংপুড়িয়া গ্রামের প্রবেশমুখে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। ব্যারিকেডের বাঁশের ওপর লেখা ‘বৃহত্তর খবংপুড়িয়া সচেতন যুব সমাজের উদ্যোগে অনির্দিষ্টকালের জন্য বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ।’ প্রশাসন, গণমাধ্যম ও মেডিক্যাল টিম এর আওতামুক্ত থাকবে। সচেতনতামূলক এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পয়েন্টে পয়েন্টে বসেছে পাহারা। পালাক্রমে গ্রামের যুবকরা দায়িত্ব পালন করছে এ কাজে। এলাকার বাইরের কেউ প্রবেশ করতে চাইলে তাদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। আর এলাকার যারা প্রয়োজনীয় কাজে বাজার কিংবা অন্যত্র থেকে ফিরছেন, তাদের প্রবেশ করানোর পর বাড়ি গিয়ে জীবাণুমুক্ত হয়ে নিতে বলা হচ্ছে। পরে প্রবেশমুখগুলোতে জীবাণুনাশক ছিটানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান কয়েকজন।
স্বনির্ভর এলাকার বাসিন্দা অমিও চাকমা জানান, নিজেদের সুরক্ষায় কয়েকদিন যদি বের না হয়ে থাকতে হয়, তাহলে সেটি মেনে চলতে কোনও ক্ষতি নেই। আমাদের এলাকার যুব সমাজ যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটি প্রতিবেশী ও স্থানীয়দের জন্য ইতিবাচক।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম বলেন, খাগড়াছড়ি পৌরসভার দুইটি গ্রামের হাজারেরও বেশি পরিবার নিজেদের সুরক্ষায় এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ করেছে। এটি ইতিবাচক উদ্যোগ। পৌরসভার পক্ষ থেকে এলাকায় এলাকায় জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে। হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়াতে নানা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামছুন্নাহার বলেন, নিজেদের সুরক্ষার জন্য গ্রামবাসী ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। গ্রামবাসীর কোনও সংকট সৃষ্টি হলে তা সমাধানের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।