খসড়া সংবিধানে সাম্যবাদকে ফিরিয়ে আনল কিউবা

44

কিউবায় যে নতুন সংবিধান রচনার প্রক্রিয়া চলছে তাতে সাম্যবাদী সমাজ গড়ার প্রত্যয়কে আবার যুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কিউবার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত সংবাদের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, খসড়া সংবিধানের প্রথম সংস্করণে সাম্যবাদের নীতি সরিয়ে দেওয়ার কারণে দেশটির অনেকেই প্রবল উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। ফলে সাম্যবাদের ধারাটি ফিরিয়ে আনতে হয়: কিউবার লক্ষ্য হবে একটি ‘সাম্যবাদী সমাজের দিকে অগ্রসর হওয়া।’ কিউবা বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি দেশের একটি যারা এখনও কমিউনিস্ট পার্টিশাসিত।
তারা মনে করে, একদলীয় শাসনব্যবস্থা ত্যাগ করা সম্ভব নয়। কিউবাতে সোভিয়েত আমলের যে সংবিধান কার্যকর ছিল তার বদলে নতুন সংবিধান বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে। এ সপ্তাহেই খসড়া সংবিধানের সর্বশেষ সংস্করণের ওপর সংসদে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। যে কমিশন নতুন সংবিধান রচনার দায়িত্ব পালন করছে তার প্রধান রাউল কাস্ত্রো। তার সিদ্ধান্তে খসড়া সংবিধানের প্রথম সংস্করণ থেকে সাম্যবাদের ধারা সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
গত জুন মাসে তা জনগণের মতামতের জন্য প্রকাশ করা হয়। তখন দলেরই অনেক সদস্য সাম্যবাদের ধারা ফিরিয়ে আনার দাবি তোলেন। তাদের দাবির মুখে খসড়া সংবিধানের আবার ধারাটি যুক্ত করা হয়। কিউবার আইন প্রণেতাদের একজন উসুয়াম প্যালাসিও।
বৃহস্পতিবার তিনি কিউবার সংসদ অধিবেশনে বলেছেন, ‘প্রকৃত বিপ্লবী সে, যে বাধা ডিঙ্গিয়ে সামনের দিকে যেত চায়। আর তার জন্যই অনুপ্রেরণা হিসেবে সাম্যবাদের প্রসঙ্গ থাকা দরকার।’ যদিও সমালোচকদের মতে, কিউবার ক্ষমতা কাঠামোই এমন যে সেখানে কোনও আলোচনা সম্ভব নয় এবং প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ সেখানে নেই। কিন্তু রয়টার্স লিখেছে, সরকার চেয়েছিল নতুন সংবিধান রচনাকে যতটা সম্ভব অংশগ্রহণমূলক করে তুলতে। নতুন সংবিধানের খসড়ায় ৭৬০টি পরিবর্তন বাস্তবায়ন করা হয়েছে! সাম্যবাদী সমাজ গড়ার ধারাটিকে ফিরিয়ে আনা এগুলোরই একটি। পুরাতন সংবিধানের সঙ্গে নতুন সংবিধানের বেশ কিছু গুণগত পরিবর্তন দেখা গেছে। নতুন সংবিধানে সম্পত্তির ব্যাক্তিগত মালিকানা এবং সমকামী বিয়ের বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। এ সপ্তাহে সংসদে যদি পাস হয়ে যায় তাহলে খসড়া সংবিধানটি কার্যকর করার জন্য আগামী ২৪ ফেব্রæয়ারি গণভোটের আয়োজন করা হবে।