কড়া বাঁধা হাতেও বর্ণবাদের প্রশস্তি

32

কড়া বাঁধা হাতেও বর্ণবাদের প্রতীক দেখালেন নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের সন্দেহভাজন খুনি ব্রেন্টন ট্যারেন্ট । শুক্রবার দুটি মসজিদে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যার অভিযোগ এনে ট্যারেন্টকে একদিন বাড়ে ক্রাইস্টচার্চের ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে হাজির করা হয়। বিচারক তাকে আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত আটক রাখতে বলেছেন। ট্যারেন্টকে আদালতে নিয়ে যায় দুজন পুলিশ সদস্য, এসময় তার দেহে ছিল বন্দিদের পোশাক, হাতকড়ায় বাঁধা ছিল হাত।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট দেখিয়েছে, হাতকড়ার মধ্যে আঙুল দিয়ে ‘শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্বের’ বর্ণবাদী প্রতীক দেখাচ্ছিলেন ট্যারেন্ট। মানুষের মধ্যে শেতাঙ্গরা শ্রেষ্ঠ- এটা যারা মনে করেন, তারা আঙুলের মাধ্যমে বিশেষ চিহ্ন তৈরি করে প্রতীক হিসেবে তার প্রকাশ ঘটিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে বৃদ্ধা ও তর্জনি আঙুল বৃত্তাকারে একসঙ্গে যুক্ত করলে তা ‘চ’ এর আকৃতি নেয়, যা দিয়ে power বা শক্তি বোঝানো হয়। আর বাকি তিনটি আঙুল তখন ‘ড’ এর রূপ নেয়, যা দিয়ে বোঝানো হয় white বা সাদা। ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় ট্যারেন্টও বন্দি হওয়ার পরও তার বর্ণবাদী মনোভাব এভাবে তুলে ধরেন। গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলা চালানোর আগে ট্যারেন্ট তার টুইটার অ্যাকাউন্টে ৭৩ পৃষ্ঠার একটি কথিত ‘ম্যানিফেস্টো’ প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি নিজেকে বর্ণনা করেছেন ভাষায়, সংস্কৃতিতে, রাজনৈতিক বিশ্বাস আর দর্শনে, আত্মপরিচয়ে এবং বংশপরিচয়ে একজন ইউরোপীয় হিসেবে। ট্যারেন্ট তার তথাকথিত ‘ম্যানিফেস্টোতে’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।