কড়াকড়িতেও চোরাচালান থেমে নেই

43

উখিয়া সীমান্তে কড়াকড়ি থাকলেও চোরাচালান থেমে নেই। চোরাচালান সিন্ডিকেট সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিরাতে বিভিন্ন চোরাইপণ্য নিয়ে আসছে এপারে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি সিন্ডিকেট সীমান্তের কতিপয় পাচারকারী সদস্যের সাথে আঁতাত করে এ ব্যবসা অব্যাহত রেখেছে।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের আগস্টের পর থেকে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করে দু’দেশ। কিন্তুচোরাচালানের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভূমিকায় মিয়ানমার। সেখান থেকে পালিয়ে এসে উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়ার রোহিঙ্গাদের সাথে মিয়ানমার বিজিপি ও নাটালা বাহিনীর সম্পর্ক রয়েছে।
সীমান্ত এলাকার এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ইয়াবা ও মাদকের বিরুদ্ধে সরকার যুদ্ধ ঘোষণা করলে ওইসব মাদক ব্যবসায়ী কৌশল পাল্টিয়ে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে নিয়ে আসছে চোরাইপণ্য। সীমান্তের রেজু আমতলী, ফাত্রাঝিরি, রেজু গর্জনবনিয়া, রেজু বরইতলি, বালুখালী, রহমতের বিল, আঞ্জুমানপাড়া দিয়ে নিষিদ্ধ পলিথিন, বার্মিজ সিগারেট, কাপড়, লুঙ্গি, ব্যাটারীসহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী এদেশে আসছে।
সম্প্রতি উখিয়া সদরের কাঁচাবাজারে অভিযান চালিয়ে মিয়ানমারের সাড়ে ২০ হাজার পিস সিগারেট এবং ২০০ কেজি কালো ও নীল রংয়ের পলিথিনসহ খুরশেদ আলম (৪০) নামে একজনকে আটক করে র‌্যাব সদস্যরা। এসব চোরাইপণ্যের মূল্য ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল খায়ের বলেন, মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্তের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে। এরপরেও যদি কেউ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চোরাইপণ্য এপারে নিয়ে আসে, তাহলে তথ্য প্রমাণ সাপেক্ষে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।