ক্রীড়া মানসিক বিকাশ সাধন করে

52

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) কেন্দ্রীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে দুই দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চেীধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক পরিপূর্ণ বিকাশ সাধনে শিক্ষার পাশাপাশি ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। সৎ, নিষ্ঠাবান, পরিশ্রমী, উদ্যমী ও মানবীয় চরিত্রের অধিকারী হতে হলে খেলাধুলা ও শরীরচর্চার কোন বিকল্প নেই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা শিক্ষার সাথে ক্রীড়া ও সংস্কৃতিকে সম্পৃক্ত করে আধুনিক, বিজ্ঞানমনষ্ক ও গুণগত শিক্ষার যে দর্শন দেশ-জাতিকে উপহার দিয়েছেন; এর সফল রূপায়নে সকলকে দায়িত্বশীল হতে হবে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোবৃত্তি সৃষ্টি হয়; যা ভবিষ্যত জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক ইতিবাচক মনোভাব গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখে।’ এসময় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতা-২০১৯ এ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) দলকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দলের সদস্যরা উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের হাতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি তুলে দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. রাশেদ বিন আমিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিভাগটির পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন।
এবারের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় হলসমূহ মনোনীত ছাত্রদের ১৭টি ইভেন্টে ২৪২ জন ক্রীড়াবিদ এবং ছাত্রীদের ১০টি ইভেন্টে ১০০ জন ক্রীড়াবিদ অংশগ্রহণ করছে।
এছাড়াও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ৩টি ইভেন্টে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ব্যান্ডের তালে তালে জাতীয় সংগীতের সুর ও মুর্”নায় জাতীয় পতাকা, উপ-উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা, স্ব স্ব হলের প্রভোস্ট হলের পতাকা এবং শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক অলিম্পিক পতাকা উত্তোলন করেন। মশাল হাতে মাঠ প্রদক্ষিণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ক্রীড়াবিদ রবিউল ইসলাম ও মাহজাবিন সূচি।