ক্রিকেটের বিস্ময় বালক মারুফ

69

বয়স দশের কোঠায়। এখনও প্রাথমিকের গন্ডি পেরোয়নি মারুফ আহমদ রাসেল। তার আগেই ক্রিকেটের বিস্ময় বালকের খেতাব জুটে গেছে তার। টেলিভিশনে খেলা দেখে বিশ্বের অন্তত ১৫ ক্রিকেটারের বোলিং রপ্ত করেছে শিশুটি। মারুফের বোলিংয়ের মোকাবেলা করা কঠিন হয়ে পড়ে ক্লাব পর্যায়ের খেলোয়াড়দেরও।
সিলেট নগরের উপকণ্ঠ সদরন উপজেলার টুলটিককর ইউনিয়নের উত্তর বালুচরের বাসিন্দা কাজল মিয়ার ছেলে মারুফ আহমদ রাসেল (১০)। নিতান্তই দরিদ্র পরিবারে জন্ম তার। বাবা পেশায় দিনমজুর। তাদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে। জীবন-জীবিকার তাগিদে সেখান থেকে এসে নগরের উপকণ্ঠ বালুচরে একটি কলোনীতে পরিবার নিয়ে থাকেন কাজল মিয়া। আর তার ঘরেই প্রতিভার আলো এই মারুফ। বন্ধুদের সঙ্গে প্রতিদিন বিকেলে মারুফ ক্রিকেট খেলে সময় কাটায় সিলেট কৃষি ইউনিভার্সিটির পেছনের টিলায়। ক্ষণিক সময়ে মারুফের মাঝে ফুটে উঠেছে বিশ্বের তারকা ক্রিকেটারদের প্রতিচ্ছবি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের আইডল মাশরাফি বিন মর্তুজা, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান, আফগান অফ- ব্রেক বোলার মুজিবুর রহমান, ভারতীয় ধীর গতির চায়নাম্যান খ্যাত কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, ভারতীয় দলের ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলার জসপ্রিত বুমরাহ, ক্যারিবিয়ান অফ স্পিনার সুনীল নারাইন ও ফাস্ট বোলার আন্দ্রে রাসেল, পাকিস্তান দলের অলরাউন্ডার শাহিদ আফ্রিদি-সহ অন্তত ১৫ ক্রিকেটারের অনুকরণে বল করতে পারে শিশু মারুফ।
তার এই অর্জন কারও শিখিয়ে দেওয়া নয়। কেবল টেলিভিশন সেটের সামনে বসে বিপিএল-সহ বিভিন্ন ক্রিকেট ম্যাচ দেখে বোলারদের অনুকরণ করা, এরপর মাঠে এসে তা রপ্ত করেছে মারুফ। তবে পড়ালেখায় মনোনিবেশে পরিবার থেকে বাধে এলেও লুকিয়ে এসে মাঠে বল হাতে নিয়মিত অনুশীলনে বাদ পড়ে না তার। যে কারণে এই বয়সেও স্থানীয় ক্রিকেট ক্লাবে যুক্ত করা হয়েছে মারুফের নাম।