ক্রাকাতাউয়ে অগ্ন্যুৎপাত বাড়ল সতর্কতা

36

ইন্দোনেশিয়ার আনাক ক্রাকাতাউ আগ্নেয়গিরিতে বেশ কয়েকদফা অগ্ন্যুৎপাত হওয়ার পর দ্বিতীয়-সর্বোচ্চ মাত্রার সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। ঘুরে যেতে বলা হয়েছে আগ্নেয়গিরিটির আশপাশ দিয়ে যাওয়া সব যাত্রীবাহী উড়োজাহাজকে। সেইসঙ্গে ক্রাকাতাউয়ের আশপাশের ৫ কিলোমিটার এলাকাও এড়িয়ে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (বিএনপিবি) বলেছে, আগ্নেয়গিরির উদগীরণ বেড়ে যাওয়ায় সতর্কতার মাত্রা ২ থেকে বাড়িয়ে ৩ করা হয়েছে। দেশটিতে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের জন্য ৪ মাত্রার সতর্কতা ব্যবস্থা চালু আছে। এ মাত্রাই সর্বোচ্চ মাত্রা। গত জুনে মাউন্ট আগুংয়ের অগ্ন্যুৎপাতের সময় ৪ মাত্রার সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। সেবারও বাধাগ্রস্ত হয়েছিল বিমান চলাচল।
এবারে জারি করা সতর্কতা সর্বোচ্চ মাত্রার কাছে পৌঁছে গেছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় ক্রাকাতাউয়ের অগ্ন্যুৎপাতে সৃষ্ট সুনামির দুটি বিশাল ঢেউ সুমাত্রা ও জাভা দ্বীপের উপকূলীয় শহরগুলো গুঁড়িয়ে দেয়। এতে ৪২৯ জন নিহত এবং ১৫০ জন নিখোঁজ হওয়া ছাড়াও ধ্বংস হয় ৭শ’র বেশি বাড়ি, ছোট ছোট দোকান, ভিলা এবং অনেক হোটেলও।
ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি জরিপের তথ্য উদ্ধৃত করে বিএনপিবি এক বিবৃতিতে বলেছে, “২৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু করে আনাক ক্রাকাতাউয়ের ভেতরে সক্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে এবং তা আরো বাড়বে বলেই আমরা ধারণা করছি। এ কারণে এর আশেপাশের ২ থেকে ৫ কিলোমিটার এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে মানুষজন এবং পর্যটকদের।”
বিমান চলাচল পথগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার আকাশপথে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এয়ারনাভ। সংস্থাটি পরিচালনায় নিয়োজিত ব্যবস্থাপক বিবিসি’কে বলেন, ২০ থেকে ২৫ টি ফ্লাইট বাধার মুখে পড়েছে। এর মধ্যে আছে অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা কয়েকটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট।