ক্যাসিনো বিএনপি আমলে হলে ১২ বছর কী করলেন

16

ঢাকায় অবৈধ ক্যাসিনো খোলা বিএনপির শাসনামলে শুরু হয়েছিল বলে ক্ষমতাসীনদের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, যদি ক্যাসিনো-জুয়া বিএনপির সময়ে শুরু হয়ে থাকে এই সরকার তো ক্ষমতায় ১২ বছর, তারা কেন এই অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসাকে এতদিন ধরলেন না? যদি বিএনপির সময়ে এই ধরনের ক্যাসিনো ব্যবসা থাকত, তাহলে ১/১১ সরকারের সময়ে ধরা পড়ত। গতকাল শনিবার ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে একথা বলেন এই বিএনপি নেতা।খবর বিডিনিউজের
আওয়ামী লীগকে দায়ী করে তিনি বলেন, আজকে নিজেদের দোষকে অন্যের ঘাড়ে চাপানোর জন্য তারা (ক্ষমতাসীনরা) মিথ্যাচারের আশ্রয় নিচ্ছে। আমরা বলতে চাই, এই সব ক্যাসিনো, এই সকল অনৈতিক কর্মকান্ড আওয়ামী সরকারের প্ররোচনায়, তাদের সরকারের প্রশ্রয়ে চলেছে, প্রশাসনের সহযোগিতায় চলেছে। তা না হলে থানা (মতিঝিল) থেকে কিছু গজ দূরে ক্যাসিনো এতদিন চলতে পারে না।
সম্প্রতি ঢাকার কয়েকটি ক্লাবে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ক্যাসিনো পেয়ে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এগুলো থেকে অর্থ ও মদও উদ্ধার করা হয়। এই ক্যাসিনোগুলোর সঙ্গে যুবলীগের নেতাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টিও উঠে আসে অভিযানে।
ক্যাসিনোতে অভিযানে অর্থ উদ্ধারের দিকে ইঙ্গিত করে খন্দকার মোশাররফ বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলের বড় নেতাদের বাসা তল্লাশি করলে ‘থলের কালো বেড়াল’ বেরিয়ে আসবে।
যুবলীগের সামান্য এক নেতার বাড়িতে আজকে ১৭৫ কোটির মতো এফডিআর পাওয়া যায়, ডলারের বস্তা পাওয়া যায়, ১৮০ কোটি টাকা ক্যাশ পাওয়া যায়। তাহলে আপনার বুঝতে পারেন, তাদের চেয়ে একটু বড় নেতারা কত কামাই করছেন, তারা কী পরিমাণ চাঁদাবাজি করছেন।
আমরা ধারণা করতে পারি, তাদের (ক্ষমতাসীন) উপর দিকের সরকারি নেতাদের এর থেকে বড় বড় দুর্নীতি আছে। তাদের বাড়িতে তল্লাশি করা হলে এদের থেকেও বেশি সম্পদ ধরা পড়বে।
দুর্নীতি দূর করতে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান খন্দকার মোশাররফ।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি দাবিতে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের এই মানববন্ধনে সংগঠনের আহ্বায়ক শাহ নেছারুল হক, সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম তালুকদার ছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, রফিক শিকদার, ওলামা দলের আবুল হোসেন, মাহমুদুল হাসান শামীম, হাবিবুল্লাহ নোমানী, মশিউর রহমান।