ক্যান্সার প্রতিরোধ করে আনার

174

আনার, নামে ফল। কিন্তু, কাজে ঔষধি। অনেকে একে বেদানা বা ডালিম বলে থাকেন। আনারের আদি নিবাস পারস্যে। সেখান থেকেই ফলটি আমেরিকা, ভারত, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। মানুষকে নিরোগ রাখতে আনারের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভীষণ কার্যকরি। অ্যান্টি-এজিং ফল হিসেবেও জনপ্রিয় এটি। চলুন জেনে নেই আনার ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা-
১. আনারের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার সেল তৈরি ও বেড়ে ওঠাকে বাধা দান করে। ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধে আনার বেশ কার্যকর।
২. ত্বকের সজীবতা এবং যেকোনো সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষায় প্রয়োজন জীবাণুরোধী উপাদান। আনারের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সে কাজই করে থাকে।
৩. আনারের রসে প্রচুর পরিমাণে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ও সাইটোকেমিক্যাল রয়েছে। ফলে এটি ক্ষুদ্র আকারের মলিকিউর গঠন করে গভীরে পৌঁছে ত্বককে হাইড্রেট করে।
৪. ত্বকের উপরিভাগের স্তরকে ডেরমিস বলা হয়। এটির গঠন কোলাজেন ও ইলাস্টিক ফাইবার দিয়ে। বয়সের ছাপ বলতে মূলত ডেরমিস অংশের অকার্যকারিতাকে বোঝায়। ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে কোলাজেন গঠনের জন্য প্রোটিনের সরবরাহে ভিটামিন ‘সি’ প্রয়োজন হয়। আনার প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ সরবরাহ করতে সক্ষম।
৫. আনারের হালকা মিষ্টি নরম বীজ খুবই উপকারি। এটি খেলে ত্বকের মৃত কোষগুলো তাজা হয়।
৬. মাত্র এক গ্রাম আনারে যে পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া সম্ভব, তা রক্তের কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে হার্টকে ঝুঁকিমুক্ত রাখে। ফলে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে।
৭. আনার খেলে পাকস্থলী ও খাদ্যনালীর পরিপাক ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে যেকোনো খাবার সহজে হজম হয়।
৮. আনারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ রয়েছে। এই দুটি ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।
৯. যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে, তারা নিয়মিত আনার খেতে পারেন। দারুণ কাজ দেবে।
১০. গবেষণায় চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন, যারা প্রতিদিন কিছু পরিমাণে আনার খান, তারা অন্যদের তুলনায় কম স্ট্রেস বা মানসিক চাপে ভোগেন। ফলে চিন্তামুক্ত থাকতে নিয়মিত আনা খানা জরুরি।
১১. আনারে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি এসিড থাকে, যা প্রদাহ প্রশমিত করে ত্বককে সুস্থ রাখে। ফলটি ত্বকের কেরাটিনোসাইট কোষের পুনরুজ্জীবন ঘটায়। ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ সহজে পড়ে না। সূত্র : ইন্টারনেট