কোরআনের বিধানেই রয়েছে শান্তি ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা

45

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী বলেছেন, ‘ইসলামের মৌলিক স্তম্ভ হলো পাঁচটি। যারা এ পাঁচ স্তম্ভ মেনে চলেন তারা আস্তিক। যারা মানেনা তারা নাস্তিক। এই নাস্তিকরাই ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কাদিয়ানীরা খতমে নবুওয়ত স্বীকার করেনা, তাই তারা কাফের। তারা নিজেদের আহমদীয়া মুসলিম পরিচয় দিয়ে জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছে। তারা ইসলামের পরিভাষা ব্যবহার করতে পারে না।’
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে দু’দিনব্যাপি শা’নে রেসালত সম্মেলনের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করুন। নাস্তিকদের শাস্তির আইন সংসদে পাশ করুন। অন্যথায় রাসূল (সা.) এর খতমে নবুওয়তের হেফাজতের জন্য আমরা কঠিন আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হবো’। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কুরআনের বিধানেই জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। অন্য কোনো তন্ত্র-মন্ত্রে শান্তি আশা করা যায় না। আমরা যদি রাসূল (সা.) কে প্রকৃত অনুসরণ করে চলি তাহলে সমাজে হানাহানি, রক্তপাত থাকবে না। দেশের নেতৃত্ব যাদের হাতে তাদের অন্তরে আল্লাহ’র ভয় না থাকার কারণে যে কোনো অন্যায়, অনাচার, পাপাচার ও জুলুম নিপীড়ন করতে তারা কুণ্ঠাবোধ করছে না। এটা দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়। তাই মুসলমানদেরকে খোদাভীরু নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে হবে’।
আহমদ শফী বলেন, শিরকমুক্ত স্বচ্ছ ঈমান-আকীদা ও আমলে সালেহ মুসলমানের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। এই আমল মহান আল্লাহ’র দরবারে কবুল হওয়ার জন্য বিদআতমুক্ত হতে হবে। কুরআন-হাদিসে হালাল-হারাম, সত্য-মিথ্যা, হক-বাতিল, ঈমান-কুফর, শিরক-বিদআত প্রতিটি বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে বিধৃত হয়েছে। আমলের প্রশ্নেও আল্লাহর রাসূল বিদআতকে কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছেন। নামাজ যাবতীয় অন্যায়, অশ্লীলতা থেকে মানুষকে মুক্ত রাখে। জিকির মানুষের কলব পরিশুদ্ধ করে। ইবাদত বন্দেগীতে আগ্রহ তৈরি হয়। আল্লাহ’র রেজামন্দী লাভ হয়। তাই সবাইকে ইবাদত বন্দেগীতে মনোযোগী হওয়ার আহবান জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, নারীরা সমাজের অর্ধেক। তাদের নিরাপত্তার জন্য আল্লাহ পর্দার বিধান জারী করেছেন। পর্দা পালনেই তাদের নিরাপত্তার গ্যারান্টি। আল্লাহ’র আইন না মানলে খাঁটি মুমিন হওয়া যায় না।
গতকাল শুক্রবার বাদজুমা থেকে চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ্ ময়দানে দু’দিনব্যাপি শা’নে রেসালত সম্মেলনের সমাপনী দিবসে সভাপতিত্ব করেন যথাক্রমে হেফাজত মহাসচিব আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী, মাওলানা হোসাইন আহমদ কৈয়গ্রাম, মাওলানা শিহাবুদ্দিন মদুনাঘাট। এতে বক্তব্য রাখেন কাকরাইল তাবলিগী মারকাজের মাওলানা হাফেজ জুবাইর, মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা আবদুল বাসেত খান, মাওলানা হাসান জামিল, মাওলানা আজিজুল হক আল মাদানী, মাওলানা মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন, হেফাজতের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মোহাম্মদ সলিমুল্লাহ, মাওলানা লোকমান হাকীম, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মাওলানা আনিসুর রহমান, মাওলানা আবদুল করিম প্রমুখ।
সম্মেলন পরিচালনা করেন মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী ও হাফেজ মোহাম্মদ ফায়সাল। সম্মেলনে দেশ ও মুসলিম উম্মাহ’র কল্যাণ কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী। বিজ্ঞপ্তি