কোনো ওষুধ মিলে না দুর্ব্যবহার করেন কর্মচারীরা

53

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত পাঁচদিন ধরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে শামীম রাজা (৬২) ভর্তি আছেন। এই পাঁচদিনে হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন দুটি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ছাড়া আর কোনো ওষুধ তার ভাগ্যে জুটেনি। গতকাল বুধবার হাসপাতালে গণশুনানিতে শামীম রাজা আক্ষেপ করে বলেন, চিকিৎসা সেবা ভালো। তবে নার্স সংকট রয়েছে। কর্মচারীরা দুর্ব্যবহার করেন। আর খাবারের মান খুবই খারাপ।’
অভিযোগ শুনার পর কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক শামীম রাজাকে হাসপাতাল প্রশাসনিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
একইভাবে হাসপাতালে ১৪ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন মরিয়ম বেগমের ভাই দেলোয়ার হোসেন বলেন, শনিবার থেকে আমার বোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল থেকে এখনো কোনো ওষুধ দেওয়া হয়নি। পরশু একটি স্যালাইন চেয়েছি, সেটিও দেয়নি।
বাঁশখালীর বাসিন্দা আবু সাদেক বলেন, দালালের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। তারা হাত থেকে রোগীর ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ফেলে।
রাঙ্গুনিয়ার মো. সেকান্দর হোসেন অভিযোগ করেন, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্যাডে পরীক্ষার নাম লিখে দেওয়া হয়। ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা না করালে হয়রানি করা হয়।
রোগী নিয়ে হাসপাতালে আসা সাতকানিয়ার বেলাল হোসেন অভিযোগ করেন, ওয়ার্ডের বাথরুমে পানি নেই। ওয়ার্ডজুড়ে ময়লা আবর্জনার স্তূপ।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম বলেন, রোগীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গণশুনানির আয়োজন করা হচ্ছে। যাতে অভিযোগগুলো সমাধান করা যায়। হাসপাতালে হাজার হাজার মানুষ আসেন। তাদের মধ্যে কে দালাল-চেনা মুশকিল। এক্ষেত্রে মানুষকে সচেতন হতে হবে। অপরিচিত কেউ সাহায্য করতে চাইলে সুযোগ দেওয়া যাবে না। হাসপাতালের তথ্যকেন্দ্রে গেলে প্রয়োজনীয় সব তথ্য পাওয়া যাবে।
গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. শেখ ফজলে রাব্বি, মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. কাজল কান্তি দাশ, তথ্য বিভাগের ইনচার্জ মো. আবদুল হক মিয়া, উপ সেবা তত্ত¡াবধায়ক শিখা বিশ্বাস, ওয়ার্ড মাস্টার মো. মঞ্জুর রহমান, আনসার সদস্য মো. রবিউল হক প্রমুখ।