কেলেঙ্কারির দায়ে অস্ট্রেলিয়ান ভাইস-চ্যান্সেলরের পদত্যাগ

21

দুর্নীতি কেলেঙ্কারির ভিডিও ফাঁস হওয়ার একদিন পরই পদত্যাগ করলেন অস্ট্রেলিয়ান ভাইস-চ্যান্সেলর হেইনজ ক্রিশ্চিয়ান স্ট্র্যাচে। শুক্রবার একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশিত হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। অভিযোগ উঠেছে, এক রুশ বিনিয়োগকারীকে সরকারি চুক্তিতে বিশেষ সুবিধা দিতে চেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার জনসেবা ও ক্রীড়া মন্ত্রী স্ট্র্যাচে। বিনিময়ে নির্বাচনী প্রচারণায় সহযোগিতা ও নিজ দলের জন্য অবৈধ অনুদান দাবি করেছেন তিনি। ২০১৭ সালে স্প্যানিশ দ্বীপ ইবজিয়ায় ধারণ করা ভিডিওটি শুক্রবার দেশটির সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা হয়। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, হেইনজ স্ট্র্যাচে ও ফ্রিডম পার্টির নেতা জোহান গান্ডেনাস এক নারীর সঙ্গে কথা বলছেন। অভিযোগ উঠেছে, ওই নারী রাশিয়ার এক ক্ষমতাশালী ব্যবসায়ীর নিকটাত্মীয়। এসময় দুই রাজনীতিবিদকেই সোফায় আরামসে বসে ধূমপান ও মদ্যপান করতে দেখা যায়। অস্ট্রেলিয়ায় বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলে তাদের জানান ওই নারী। তিনি (নারী) অস্ট্রেলিয়ার ক্রোনেন-জেইটাং পত্রিকার ৫০ ভাগ শেয়ার কিনে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন ও পত্রিকাটির সম্পাদকীয় বিভাগ ফ্রিডম পার্টিকে সমর্থন করবে বলে প্রস্তাব দেন।
এসময় ওই পত্রিকার বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করে তাদের সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন অস্ট্রেলিয়ান মন্ত্রী স্ট্র্যাশে। এর বিপরীতে সরকারি চুক্তির ক্ষেত্রে রুশ নারীকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। এ মিটিংয়ের আয়োজক ও ভিডিও কে বা কারা ধারণ করেছিল তা জানা যায়নি। এদিকে, ‘উদ্দেশ্যমূলক রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার’ দাবি করে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্ট্র্যাচে। অস্ট্রেলিয়ার প্রভাবশালী এ মন্ত্রী জানান, সরকারের ক্ষতি এড়ানোর জন্যই বিদায় নিচ্ছেন তিনি। পদত্যাগের পর যোগাযোগমন্ত্রী নরবার্ট হোফার তার পদে বসবেন বলেও জানান হেইনজ ক্রিশ্চিয়ান স্ট্র্যাচে। অস্ট্রেলিয়ান চ্যান্সেলর ও পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান সেবাস্টিয়ান কারজ এ বিষয়ে শিগগিরই বিবৃতি দেবেন বলে জানা গেছে।