কেরানীহাট মাদ্রাসায় ক্লাশরুমে পানি পাঠদান ব্যাহত

58

দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কেরানীহাটে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু পরিমাণ পানি জমে গিয়ে জনসাধারণকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রবেশপথ পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে বন্ধ রয়েছে কেরানীহাট জামেউল উলুম ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার পাঠদান কার্যক্রম।
তাছাড়া কেরানীহাটটি পর্যটন শহর কক্সবাজার ও পার্বত্য জেলা বান্দরবানের প্রবেশপথ হওয়াতে প্রতিদিন বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য জমায়েত হওয়া হাজারো যাত্রী সাধারণও এ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। গড়ে উঠা বিভিন্ন বিপণি বিতান পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা রুদ্ধ করা আর ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে না উঠার কারণেই মূলত এ দুর্ভোগ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কেরানীহাট জামেউল উলুম ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা নুরুল হক সিরাজী বলেন, কেরানীহাটে অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই মাদ্রাসার প্রবেশ পথ পানিতে তলিয়ে যায়। শ্রেণী কক্ষেও পানি প্রবেশ করায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেছেন, কেরানীহাটে স্থায়ী ভাবে ড্রেন নির্মাণ করা হবে। কেরানীহাট ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি ওসমান আলী বলেন, আমাদের নির্মিত কেরানীহাট শপিং সেন্টারে পানি সরানোর ব্যবস্থা করলেও আরো একাধিক বিপণি বিতানে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই কেরানীহাটে পানি জমে মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
কেরানীহাট জামেউল উলুম ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল (ডিগ্রী)মাদ্রাসা গর্ভনিং বডির সভাপতি ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান বলেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না রেখে মার্কেট ও আবাসিক ভবন নির্মাণের ফলে সামান্য বৃষ্টিতেও মাদ্রাসার প্রবেশ পথ তলিয়ে শ্রেণীকক্ষে পানি প্রবশে করায় মাদ্রাসার পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। পুরো কেরানীহাটকে একটি মাষ্টার প্ল্যানের আওতায় এনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত এ সমস্যার স্থায়ী সামাধান হবেনা।
মানুষের ভোগান্তি ও মাদ্রাসায় পাঠদান বন্ধ থাকার বিষয়ে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি শোনার পর ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছি। জমে থাকা পানি কিভাবে কমে যায়, সেজন্য দায়িত্বরত ব্যাক্তিদের দায়িত্ব দিয়েছি।
আশা করি পানি চলে যাবে। আর স্থায়ী ভাবে পানি নিস্কাশনের জন্য খুব কম সময়ের মধ্যেই ড্রেন নির্মাণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা আশা করছি।