কুমিল্লায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮

38

কুমিল্লায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় আটজন নিহত হয়েছেন। শনিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা দুর্ঘটনার খবর নিশ্চিত করেছেন। ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানান, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে জেলার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে। কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী গ্রীন লাইন পরিবহনের বাস সকালে ইলিয়টগঞ্জ ব্রিজ এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যানকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বাসের সুপারভাইজার এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান বাসের হেলপার। মানোয়ার হোসেন নামে নিহত হেলপার মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানার কাজিকান্দার গ্রামের ইদ্রিস শেখের ছেলে এবং ফাহাদ আল রাজী ফয়সাল নামের সুপারভাইজার কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার লালবাগ এলাকার মৃত কায়কোবাদের ছেলে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
এদিকে, দুপুর সাড়ে ১২টায় মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার কোরপাই এলাকায় একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে প্রাইভেট কারের যাত্রী টাঙ্গাইল সদরের আশেকপুর এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে হুমায়ুন কবির ও একই জেলার টাকুরটাকুর এলাকার আশেক আলীর ছেলে মজিবুর রহমান নিহত হন।
অপরদিকে, দুপুর আড়াইটায় দাউদকান্দির গৌরিপুর বাস স্ট্যান্ডে সিডিএম পরিবহনের একটি বাস এক নারী পথচারীকে চাপা দিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এসময় ওই নারীসহ বাসের দুই যাত্রী নিহত হন। নিহত নারী দাউদকান্দির গোপচর গ্রামের খায়রুল মোল্লার স্ত্রী নুরন্নাহার। বাসে থাকা দুই যাত্রী ডুবে মারা যান। নিহত বাস যাত্রীর একজন দাউদকান্দির কুশিয়ারা গ্রামের শরীফ আলীর ছেলে মো. সুমন। অন্যজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এছাড়া দুপুর ১টার দিকে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টমেন্ট এলাকায় দুর্ঘটনাকবলিতদের উদ্ধারে যাওয়ার পথে হাইওয়ে পুলিশের রেকার চাপায় এক বেদে নারী নিহত হন। তিনি মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুর এলাকার সজীবের স্ত্রী। তিনি একটি মারুতি গাড়ি থেকে পড়ে রেকারের চাকায় পিষ্ট হন বলে স্থানীয়রা জানান।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ ও ময়নামতি হাইওয়ে থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান দুর্ঘটনায় আটজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।