কুমিল্লার শুরু জয় দিয়ে

32

ডেভিড ওয়ার্নার না পারলেও স্টিভেন স্মিথ ঠিকই শুরু করলেন জয় দিয়ে। বিপিএলে জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করলো স্টিভেন স্মিথের দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ওয়ার্নারের সিলেট সিক্সার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা। ১২৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ঘাম ঝরাতে হয়েছে কুমিল্লাকে। তুলনামূলক ব্যাটিংটা বাজে না হলেও ঝড়ো ছিলো না তাদের ব্যাটিং। তাই এক বল হাতে রেখেই জিততে হয় স্মিথদের। ওপেনার তামিম শুরুতে নামলেও তার ব্যাটিংয়ের গতি ছিলো ধীর-স্থির। এক প্রান্ত ধরে তিনি খেলতে থাকেন ১৭ ওভার পর্যন্ত। ওয়ার্নারের মতো স্মিথের বিপিএল অভিষেকটাও ছিলো নিষ্প্রভ। ১৬ রান করে গ্লাভসবন্দি হয়েছেন, তবে স্নিকোমিটার বিহীন ডিআরএসে তার আউট নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। নেপালের স্পিনার সন্দিপ লামিচানে পর পর দুই ওভারে দুই উইকেট তুলে জানান দেন ঘূর্ডুজাদুর। তাতে বেশ অস্বস্তিতেই পড়ে গিয়েছিলো কুমিল্লা।
কিন্তু অভিজ্ঞ তামিম ও আফ্রিদি পরে সামাল দেন পরিস্থিতি। তামিম দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান করে রানআউট হলে শহীদ আফ্রিদিই ছিলেন আগ্রাসী ভূমিকায়। ৫ চার ও দুই ছয়ে ২৫ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থেকে জয় তুলে নেন। ম্যাচসেরা হন আফ্রিদি। লামিচানে ছাড়া আরও দুই উইকেট নেন আল আমিন হোসেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১২৭ রান সংগ্রহ করে সিলেট।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওভারে বিদায় নেন ওপেনার লিটন। অদ্ভুত উইকেটে সিলেট অধিনায়ক ওয়ার্নার উইকেট দেওয়ার কিছু সুযোগ দিলেও তিন চারে বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করেছেন দর্শকদের।
তরুণ তুর্কিদের বহর থেকে সেভাবে রান আসেনি সিলেটের স্কোর বোর্ডে। আফিফ তিন চার মেরে, সাব্বির এক ছক্কায় ফিরলে স্কোর বোর্ড একটা সময় মনে হচ্ছিলো টেস্টে ম্যাচের। নিকোলাস পুরান রান বাড়ানোর তাড়া দেখালে শত রান পার হয় তাদের। ২৬ বলে ৪১ রানে ফেরা পুরানের ইনিংসটাই ছিলো ঝড়ো গতির। অলোক কাপালি ২০ বলে ১৯ রান করে ফিরলে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান সংগ্রহ করে সিলেট সিক্সার্স।