কুতুবদিয়ায় এক মাসে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ৩১৬ জন

57

শীত বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কুতুবদিয়া ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া বাড়ছে। বেশি আক্রন্ত হচ্ছে শিশুরা। এসব রোগে নারী শিশু আক্রান্ত হচ্ছে জানিয়ে কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ডাক্তার) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে শিশুদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অভিভাবকের অসচেতনতা ও অবহেলার কারণে শিশুরা নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের শেষ মাসে (ডিসেম্বর’১৮) নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ১৪ শিশু। গত এক মাসে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন নারী, পুরুষ, শিশুসহ ৩১৬ জন। ভর্তিকৃত রোগীদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিল শিশু। হাসপাতালে সরকারিভাবে নিউমোনিয়া ও ডায়েরিয়া রোগের পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ আছে বলে দাবী করেন। গত মঙ্গলবার বিকালে সরেজমিনে গিয়ে কুতুবদিয়া হাসপাতালে মহিলা ওয়ার্ডে দেখা গেছে, উত্তর ধুরুং নিবাসী নুসরাত জাহান বিগত তিন দিন ধরে ৫ বছরের ছেলে সোহেলকে নিউমোনিয়া রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। সরকারি হাসপাতাল থেকে একটি ঔষধ ছাড়া কোন ধরনের ঔষধ পায়নি। অধিকাংশ ঔষধ ফার্মেসি থেকে ক্রয় করতে হয়েছে। বিদ্যুতের অভাবে দিনের বেলায় নিউমোনিয়া রোগীকে নেবুলেজার (গ্যাস) দিতে না পারায় রোগীদের কষ্ট হচ্ছে বলে নয়ন মনির (৫) পিতা মোজাম্মেল হোসেন এ প্রতিনিধিকে জানান। আবাসিক মেডিকেল অফিসার জয়নাল আবেদীন জানান, হাসপাতালে পর্যাপ্ত নেবুলেজার মেশিন (গ্যাস) সরকারিভাবে সরবরাহ থাকলেও বিদ্যুৎ ভোল্টেজ দুর্বল থাকায় রোগীদের কাজে আসছে না।
লেমশীখালীন করলাপাড়ার বাসিন্দা এজমা রোগী ছালে আহমদ (৫৫) জানান, হাসাপাতালে ভর্তি হলেও দিনের বেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় শ্বাস কষ্টের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হলেও নেবুলেজার মেশিন দ্বারা গ্যাস দেয়া সম্ভব হয় না। তাকে প্রতিনিয়তই প্রাইভেট ল্যাবে গিয়ে নেবুলেজার মেশিন দিয়ে গ্যাস দিতে হচ্ছে। এভাবে রোগীদের চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।