কুতুপালং ক্যাম্পে ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে ‘মাঝি’

42

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে এক মাঝি (রোহিঙ্গা নেতা) শুরু করেছে ইয়াবা বেচাকেনা। এক শ্রেণীর ইয়াবা পাচারকারী সিন্ডিকেট রোহিঙ্গা ক্যাম্প মাঝিদের ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। তৎমধ্যে অন্যতম উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-২ সি-১ ব্লকের ক্যাম্প মাঝি মোহাম্মদ আলম। তার যুবতি মেয়ে সানজিদা বেগম(১৭) এবং ছেলে জাফর আলম(২২) দিয়ে রাতে ঘরে বিভিন্ন দূর দূরান্ত থেকে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় লোকজন নিয়ে এসে আসর জমিয়ে ইয়াবা রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
কুতুপালং এলাকার বাসিন্দা সোনালী আলী অভিযোগ করে জানান, ক্যাম্পে মোহাম্মদ আলম মাঝি প্রকাশ্যে ইয়াবা ও মাদক বিক্রি করার কারণে এলাকার যুব সমাজ দিন দির ধ্বংসের দিতে ধাবিত হচ্ছে। যার কারণে স্থানীয় অভিভাবকেরা তাদের যুবক ছেলেদের নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে। তাই মোহাম্মদ আলমসহ তার ছেলে এবং মেয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কুতুপালং ক্যাম্প-২ এর বাসিন্দা জানান, মোহাম্মদ আলম ক্যাম্প মাঝির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড শুরু করেছে। এমনকি তার ব্লকের সুন্দরী মেয়েদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মালয়েশিয়ার দালালের হাতে তুলে দেওয়া সহ নানান অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাই তাকে মাঝি থেকে বাতিল করার দাবী জানান সে।
ক্যাম্প পুলিশের (ওসি) মাঈনুদ্দিনের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হলে বলে জানান।