কুকুরের গলায় ট্রাম্পের মেডেল পরানোর ছবি নিয়ে তোলপাড়

36

বছর দুয়েক আগে হোয়াইট হাউসে আনুষ্ঠানিকভাবে সাবেক সেনা কর্মকর্তা জেমস ম্যাকক্লেঘানের গলায় সম্মানসূচক মেডেল পরিয়ে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার সেদিনের ছবি(!) টুইটারে শেয়ার করেছেন তিনি। তবে, এবারের ছবিতে ট্রাম্প থাকলেও নেই সেনা কর্মকর্তার মুখ। তার বদলে ছবির সামনের অংশ দখল করে নিয়েছে আইএস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদী হত্যার অভিযানে অংশ নেওয়া কুকুরটি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শেয়ার করা ছবিতে দেখা যায়, তিনি কুকুরটির গলায় সম্মানসূচক মেডেল পরিয়ে দিচ্ছেন। অবশ্য মেডেলে তারকা চিহ্নের বদলে রয়েছে কুকুরের পায়ের ছাপের নকশা। ছবির ক্যাপশন হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘আমেরিকান হিরো’। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। একজন বীর সেনা কর্মকর্তার মুখাবয়বের জায়গায় কুকুরের ছবি বসিয়ে তাকে অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। এছাড়া, এডিট করা ছবিটির নিচে ডেইলি ওয়্যারের জলছাপ দেখা গেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এটি তাদের বানানো ছবি নয়। ট্রাম্প ও ম্যাকক্লেঘানের মূল ছবিটি ছিল বার্তাসংস্থা অ্যাসিসিয়েট প্রেসের (এপি)। তবে, সমালোচনার বিষয়ে হোয়াইট হাউস কর্তৃপক্ষ কিছু বলতে রাজি হয়নি। আর সেনা কর্মকর্তা ম্যাকক্লেঘানও কোনো মন্তব্য করেননি। ১৯৬৯ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় একদিন প্রবল আক্রমণের মুখে পড়েন জেমস ম্যাকক্লেঘান ও তার দল।
প্রতিপক্ষের ছোড়া গ্রেনেডে গুরুতর আহত হন তিনি। তা সত্তে¡ও প্রতিপক্ষের মুহুর্মুহু গুলি মধ্যে প্রাণ বাজি রেখে আহত সহকর্মীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনেন তিনি। হামলায় তার দলের এক চিকিৎসক নিহত হন। ওই দিনের বীরত্বের জন্য ২০১৭ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্টর কাছ থেকে বিশেষ সম্মাননা পান ম্যাকক্লেঘান। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছ থেকে সম্মাননা পাওয়া প্রথম ব্যক্তি তিনিই। গত শনিবার রাতে সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে মার্কিন বাহিনীর অভিযানের একপর্যায়ে আত্মঘাতী হন আল বাগদাদী। হামলার মুখে একটি সুড়ঙ্গের ভেতর দৌড়ে পালান তিনি, সঙ্গে তিন শিশুসন্তানকেও টেনে নিয়ে যান এই আইএস নেতা। এসময় মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি কুকুর তাদের ধাওয়া করেছিল। একপর্যায়ে তারা এমন এক জায়গায় পৌঁছান, যেখান থেকে পালানোর কোনো উপায় ছিল না। সেসময় গায়ে থাকা সুইসাইড ভেস্টে বিস্ফোরণ ঘটান আল বাগদাদী। এতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তার দেহ, প্রাণ হারায় তিন শিশুসন্তানও।