‘কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির ক্ষেত্রে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে কাজ করতে হবে’

248

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেছেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার পাঁচ ভাগের এক ভাগই (৩৬ মিলিয়ন) কিশোর-কিশোরী, যাদের বয়স ১০ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। তন্মধ্যে প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ কিশোরী অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতায় ভূগছে। কিশোর-কিশোরীদের পুষ্টি অবস্থার উন্নতি সাধনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্টান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর পাইলটিং হিসেবে বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের ২৫টি জেলার ২৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ‘কৈশোরকালীন’ পুষ্টি কার্যক্রম পরিচালনা করবে। পরবর্তীতে দেশের সমগ্র জেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এসডিজির গোল অর্জনসহ শিক্ষার্থীদেরকে তাদের স্বাস্থ্য ও পষ্টি বিষয়ে সচেতন করার জন্য সরকার এ উদ্যোগ গ্রহন করেছেন।
সরকারের এ উদ্যোগ সফল করতে প্রত্যেক জেলায় একজন কাউন্সিলরের পদ (রাজস্ব) সৃষ্টি করা হবে এবং প্রত্যেক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুই জন শিক্ষককে পুষ্টি কার্যক্রম বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। মুজিববর্ষে ২০২০ সালে কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির ক্ষেত্রে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। তাহলে এ কর্মশালা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়স্থ দি পেনিনসুলা হোটেলে আয়োজিত ‘কৈশোরকালীন পুষ্টিঃ অপারেশনাল গাইডলাইন’ বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় পুষ্টি সেবা এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীরের সভাপতিত্বে ও জয়নব রুমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনএনএস’র লাইন ডাইরেক্টর ডা. এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়া (উপ-সচিব), পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মা ও শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ শরীফ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চীফ প্ল্যানিং (স্বাস্থ্য সেবা) সুস্মিতা ইসলাম, ইউনিসেফ’র নিউট্রিশন অফিসার ডা. আইরিন আখতার ও স্বর্ণ কিশোরী নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশনের পরিচালক ডা. নিজাম উদ্দিন আহমদ। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা.মোঃ আবদুস সালাম, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। পুষ্টি বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন ইউনিসেফ’র নিউট্রিশন অফিসার ডা. আইরিন আখতার, মাউশি’র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মাজহারুল হক মাসুদ, জাতীয় পুষ্টি সেবা প্রতিষ্টানের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. নন্দলাল সুত্রধর, স্বর্ণ কিশোরী নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অফিসার ডা. মো. ওয়ালিদ হাসান ও মনিটরিং অফিসার আবরার ওয়াব। প্রশিক্ষণে চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার সিভিল সার্জন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা অফিসার, বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ মোট ৬০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন। বিজ্ঞপ্তি