কাশ্মীর রেস্তোরাঁয় তিনটি প্যাকেজে ১০১ ইফতারি

70

ইফতারের আগের সময়টায় বহদ্দারহাট এলাকা থাকে জমজমাট। মানুষ ছুটছে, ছুটছে গাড়ি। ব্যস্ততাকে ডিঙিয়ে ইফতার করার জন্য বাসায় ফিরছেন সবাই। আবার কেউ কেউ রেস্টুরেন্টেই সেরে নিচ্ছেন। সারাদিন রোজা রাখার পর স্বাস্থ্যকর ইফতার কোথায় পাওয়া যায়? সেটা যখন মুখ্য প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখনই আস্থার বাণী শুনাচ্ছে ওই এলাকার কাশ্মীর রেস্তোরাঁ।
খাদ্যে ভেজাল দেওয়া অসৎ ব্যবসায়ীদের দৌরাত্মের খবরে দুশ্চিন্তায় শহরের মানুষ। এ অবস্থায় যেদিনের খাবার সেদিন ও গুণগত মান রক্ষায় সবকটি ধাপই নিয়ন্ত্রণ করা হয় কঠোর হস্তেÑএমন দাবি করেছেন কাশ্মীর রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপনা পরিচালক যিকরু হাবিবীল ওয়াহেদ।
গতকাল বিকালে বহদ্দাহাট এলাকায় কাশ্মীর রেস্তোরাঁর ইফতার আয়োজনে দেখা যায়, তাদের রয়েছে স্বতন্ত্র স্বকীয়তা। নিয়মিত ইফতারি বিক্রির পাশাপাশি রয়েছে প্যাকেজের ব্যবস্থা। এখানে বসে ইফতারি খাওয়া যাবে। আবার বাসায় পার্সেল করে এসব প্যাকেজ নিয়ে যেতে পারবেন যে কেউ। ইফতারি আয়োজনে রয়েছে মোট ১০১টি পদ। এসবের মধ্যে রয়েছে বিরিয়ানির কয়েক পদ। তিনটি প্যাকেজের প্রথমটি ১৮০ টাকা, দ্বিতীয়টি ২৮০ টাকা এবং শেষেরটি দাম ৩৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এসবের বাইরে কেউ চাইলে শুধুমাত্র ফ্রুটসের প্লাটার দিয়ে ইফতার করতে পারবেন। তবে তার জন্য আগে থেকে অর্ডার করতে হবে।
যারা দল বেঁধে বা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখানে ইফতার করতে চান, তাদের জন্য রয়েছে ‘মহারাজ’ ইফতার ও ডিনার প্লাটার। কমপক্ষে চার জনের জন্য এই প্যাকেজের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭শ টাকা। যেখানে থাকছে বিরিয়ানি, মুসাল্লাম, কাবাব, ডিম, সালাদ, স্ট্রবরি থিংস্ক, বোম্বে জিলাপি, এ্যারাবিয়ান খেজুর, ক্রেপসি স্প্রিং রোল, মালেশিয়ান চিকেন ফ্রাই, মালটা এবং শাহী ফিরনি।
কথা হয় কয়েকজন ক্রেতার সাথে। তাদের মধ্যে কলেজ শিক্ষক আলমগীর খান বলেন, সারাদিন চারদিক থেকে শুনতে পাই ভেজাল আর ঠকবাজদের খবর। সেখানে আসল চেনা দায়। আমাদের বহদ্দারহাট এলাকায় ভালো রেস্টুরেন্ট তেমন একটা নেই। তবে কাশ্মীর রেস্টুরেন্টের খাবার নিচ্ছি শুরু থেকে। স্বাদ আর আস্থা থেকে তাদের প্রতি বিশ্বাস জন্মেছে। আশা করছি তারা এই আস্থা আজীবন ধরে রাখবে।
রেস্টুরেন্টটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক যিকরু হাবিবীল ওয়াহেদ পূর্বদেশকে বলেন, ইফতারি আয়োজনে আমাদের রয়েছে নিজস্ব স্বকীয়তা ও বৈশিষ্ট। কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে বিতরণ, আমি নিজেই মনিটরিং করি। কোন পুরনো বা আগের দিনের খাবার বা উপদান পরের দিনের খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয় না। এতে আমরা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারি। মানুষ কষ্টের টাকায় খাবার বা ইফতারি কিনবেন, সেটা মাথায় রেখে আমরা সর্বোচ্চটুকু দেওয়ার চেষ্টা করি।