কাশ্মির থেকে ৭ হাজার সেনা প্রত্যাহার করছে ভারত

18

অধিকৃত কাশ্মির থেকে ৭ হাজারের বেশি ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে দিল্লি। অঞ্চলটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর সেখান থেকে সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সেস (সিএপিএস)-এর ৭২টি কোম্পানিকে নিজ নিজ ঘাঁটিতে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে মোদি সরকার। মঙ্গলবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ ব্যাপারে নির্দেশনা জারি করেছেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করা হয়। একইসঙ্গে উপত্যকার রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করে বিজেপি সরকার। ওই দিন সকাল থেকে কার্যত অচলাবস্থার মধ্যে নিমজ্জিত হয় দুনিয়ার ভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মির উপত্যকা। সম্ভাব্য গণআন্দোলন সামাল দিতে আগে থেকেই সেখানে মোতায়েন সামরিক বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্যের সঙ্গে যুক্ত করা হয় কয়েক হাজার বাড়তি সেনাসদস্য। জারি করা হয় ব্যাপক বিধিনিষেধ। সোমবারের নির্দেশনার আওতায় ২৪ কোম্পানি সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সেস (সিআরপিএফ), আর বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ), সেট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ), ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি) ও সশস্ত্র সীমান্ত বলের (এসএসবি) প্রত্যেক বাহিনীর ১২টি কোম্পানিকে প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে।
প্রতিটি কোম্পানিতে মোট ১০০ জন করে সদস্য রয়েছে। এর আগে কাশ্মির থেকে এ মাসের গোড়ার দিকে আধাসামরিক বাহিনীর প্রায় ২০টি কোম্পানিকে প্রত্যাহার করা হয়। আগস্টে কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সময় বাড়তি নিরাপত্তার অংশ হিসেবে সেখানে তাদের মোতায়েন করা হয়েছিল। স¤প্রতি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর আরও সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার অংশ হিসেবে ধাপে ধাপে সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিজ নিজ ঘাঁটিতে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।