কাশ্মির ইস্যুতে বিশ্ব সম্প্রদায় নীরব কেন : ইমরান খান

41

কাশ্মির ইস্যুতে আবারও ভারতের তীব্র সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ উপত্যকায় মানবাধিকার বিষয়ক আইন লঙ্ঘিত হলেও বিশ্ব স¤প্রদায় নীরব থাকায় প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য আসছে।গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
ওই দিন থেকে কার্যত অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে কাশ্মির। মোবাইল-ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে সেখানকার জনশূন্য রাস্তায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র সেনারা। গ্রেফতার করা হয়েছে শত শত নেতাকর্মীকে। রাজি রয়েছে বিধিনিষেধ। কাশ্মিরের উন্নয়নের জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বিজেপি সরকারের পক্ষে এমন দাবি করা হলেও সেখানে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে পাকিস্তান। ইমরান খান টুইটবার্তায় বলেন, ‘মোদি সরকারের দখলকার ভারতীয় বাহিনী দ্বারা জম্মু-কাশ্মিরকে অবরুদ্ধ করে রাখার ৩২তম দিন ছিল শুক্রবার। এই অবরোধের মাঝে ভারতীয় বাহিনী হত্যা করেছে, আহত করেছে (বন্দুকের গুলি দিয়ে), কাশ্মিরি নারী, পুরুষ ও শিশুদের অপব্যবহার করেছে। বহু কাশ্মিরিকে ভারতের বিভিন্ন কারাগারে নেওয়া হয়েছে।’ কাশ্মিরের হাসপাতালগুলোতে মেডিক্যাল সাপ্লাই শেষ হয়ে গেছে উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, ‘কাশ্মিরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে মৌলিক প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল সাপ্লাই শেষ হয়ে যাচ্ছে। এর থেকেও ভয়াবহ প্রতিবেদন পাওয়া যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।’
অন্য টুইটবার্তায় ভারতের তীব্র সমালোচনা করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার আইনসহ আন্তর্জাতিক আইনগুলো লঙ্ঘন করছে ভারত। যা বিশ্ব দেখছে। তারপরও বিশ্ব নিরব কেন?’ ইমরান আরও বলেন, আসাম ও কাশ্মিরে যে ‘জাতিগত নিধন’ চলছে তা দেখছে বিশ্ব। স¤প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরান বলেন, জম্মু-কাশ্মিরে ভারতের কর্মকাÐ বন্ধ করতে বিশ্ব ব্যর্থ হলে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশগুলো ‘সরাসরি সামরিক যুদ্ধের’ কাছাকাছি পৌঁছাবে।