কালো ধোঁয়া ছড়ানো যানবাহন জব্দের নির্দেশ

36

যেসব যানবাহন নির্ধারিত মাত্রার বেশি কালো ধোঁয়া ছড়াচ্ছে সেগুলো জব্দের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে সড়ক পরিবহন আইনের বিধান অনুযায়ী প্রত্যেক যানবাহনের ‘ইকোনোমিক লাইফ’ নির্ধারণ করতে বলেছে আদালত। যেসব পরিবহনের ‘ইকোনোমিক লাইফ’র পেরিয়ে গেছে, সেসব বাহন নিষিদ্ধের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে আদেশে। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া টায়ার পোড়ানো বা ব্যাটারি রিসাইকেলিং বন্ধেও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। পরিবেশ অধিদপ্তরকে এক মাসের মধ্যে এ বিষয়ে বাস্তবায়ন প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজিপুর ও মানিকগঞ্জে যেসব অবৈধ ইটভাটা এখনও বন্ধ করা হয়নি, সেগুলা বন্ধ করে দুই মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন প্রতিবেদন দিতে বলেছে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের হাই কোর্ট বেঞ্চ।
ঢাকার বায়ু দূষণ নিয়ে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন এইচআরপিবি করা একটি রিটের সম্পূরক আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার এ আদেশ আসে। ঢাকার বায়ুমান উন্নয়নে পরিবেশ অধিদপ্তর কি পদক্ষেপ নিয়েছে এবং অধিদপ্তরে জনবল নিয়োগের বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে আগামি ২ ফেব্রæয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপিরচালককে আদালতে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাঈদ আহমদ রাজা ও তৌফিক ইনাম টিপু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। খবর বিডিনিউজের
আদেশের পর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকার বায়ু দূষণ বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। এ কারণে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে জনস্বার্থে একটি রিট আবেদন করেছিল এইচআরপিবি। সেই প্রেক্ষিতে আদালত পানি ছিটানো ও ধুলাবালি কমানোর বিষয়ে দুটো নির্দেশনা দিয়েছিল। সে অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে রবিবার দু’টি বাস্তবায়ন প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়। আমরা বলেছি, এখন পর্যন্ত বায়ূ দূষণে আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছি। এটা নিয়ন্ত্রণে কিছু পদক্ষেপ দরকার। সে জন্য সম্পূরক আবেদনে ১২ দফা নির্দেশনা চেয়েছিলাম। তার মধ্যে আদালত নয়টি নির্দেশনা দিয়েছে’।
আদালত বলেছে, ঢাকায় যেসব ট্রাক বালু, ময়লা ও বর্জ্য পরিবহন করবে, সেগুলো যাতে ঢাকা থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। নির্মাণ এলাকায় বালু, সিমেন্ট মাটিসহ নির্মাণ সামগ্রী ঢেকে রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের যেসব এলাকায় পানি ছিটানো হয়নি সেসব এলাকাসহ ধুলোবালুপ্রবণ এলাকায় নিয়মিত পানি ছিটাতে হবে। আইন ও দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী উন্নয়ন ও নির্মাণ কাজ নিশ্চিত করতে হবে।
দোকান বা মার্কেটে দিনের ময়লা-আবর্জনা বিন বা ছালায় জমা রাখতে হবে। দোকান বা মার্কেট বন্ধ করার সময় মালিকরা তা সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত জায়গায় ফেলার ব্যবস্থা করবেন। এ বিষয়টি ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনকে নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।