কালো টাকার পক্ষে সাফাই রওশন এরশাদ

53

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার পক্ষে সাফাই গাইলেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, প্রত্যেক দেশেই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আছে। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিলে বিত্তশালীরা দেশে বিনিয়োগ করবেন। না হলে টাকা পাচার হয়ে যাবে।
গতকাল শনিবার সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধীদলীয় উপনেতা এসব কথা বলেন।
রওশন এরশাদ বলেন, এসব টাকা (কালো টাকা) দেশে বিনিয়োগ হলে, শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হলে কর্মসংস্থান বাড়বে। তাই কালো টাকা সাদা করার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে হবে বলে দাবি জানান তিনি।
বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থ নেই। বেসরকারি খাত ব্যাংক থেকে ঋণ পাচ্ছে না। অথচ বাজেটের ঘাটতি পূরণে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছেন।
কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে বড় চ্যালেঞ্জ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি অবশ্য বড় চ্যালেঞ্জ। তারপরও কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। না হলে বৈষম্য কমবে না। এজন্য এখন থেকেই পরিকল্পনা করা দরকার বলে পরামর্শ দেন তিনি। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
অর্থবছর জুলাই-জুন না করে জানুয়ারি-ডিসেম্বর করার প্রস্তাব করে রওশন বলেন, যখন অর্থবছর শুরু হয় তখন ভরা বর্ষা থাকে। এ কারণে বাজেট বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে পড়ে। এ বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া উচিত। তিনি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো এবং শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়ার, অনলাইনে কেনাকাটায় কর প্রত্যাহার, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে সাংসদদের মতামত নেওয়ার আহবান জানান।
কৃষকদের জন্য প্রণোদনা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, ধান বেশি হলো, কিন্তু কৃষকরা মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন। তাদের প্রণোদনা দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যেও কৃষকদের শতভাগ ভর্তুকি দেওয়া হয়। কৃষককে কেন ধানক্ষেতে আগুন দিতে হলো, তিনি খাদ্যমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর কাছে এর জবাব চান।
বাজেটের ইতিবাচক দিকের প্রশংসা করে রওশন বলেন, এর আগে কখনও সংসদ সদস্যরা এত আগ্রহ-উৎসাহ নিয়ে বক্তব্য দেননি।
রাজস্ব খাতে ব্যাপক সংস্কার আনার পরামর্শ দিয়ে বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, ভ্যাট কাঠামো কার্যকর করার আগে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া প্রয়োজন।
পার্টির চেয়ারপারসন ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়ে রওশন বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এখন অনেক অসুস্থ। তবে কিছুটা ভালোর দিকে। দুর্বল রয়ে গেছেন। সেজন্য মানসিকভাবে বিপর্যস্ত আমরা। সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।