কারাগারে ইফতারের বরাদ্দ দ্বিগুণ বেড়ে ৩০ টাকা

50

শীতকালে খেজুর গাছ থেকে সংগৃহীত রস থেকে তৈরি নলেন বা পাটালি গুড় দিয়ে বানানো হয় স্পেশাল শরবত। এবারের রমজানে প্রথমবারের মত চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীদের ইফতারের জন্য প্রতিদিন পাটালি গুড়ের শরবত সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া ভাজা ছোলা, মুড়ি, বেগুনি, কলা, পেয়াজু’র মত নিয়মিত পদগুলোতে রয়েছেই। সবমিলিয়ে কারাগারে বন্দীদের জন্য এবারের ইফতার মেন্যুতে রয়েছে সাত পদের খাবার। তবে বন্দীরা পাটালি গুড়ের শরবতেই ইফতারে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন।
এদিকে, বিগত ২০০৯ সাল থেকেই দেশের কারাগারগুলোতে রমজানে বন্দীদের ইফতারের জন্য বরাদ্দ ছিল ১৫ টাকা। এবার তা এক লাফে বেড়ে দ্বিগুণ অর্থাৎ ৩০ টাকা করা হয়েছে। বরাদ্দ দ্বিগুণ হওয়ায় সাধারণ বন্দীরা ইফতার করেও স্বস্তিবোধ করছেন।
চট্ট্রগাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নাশির আহমেদ পূর্বদেশকে বলেন, কারাগারে সকলকে নিয়ম-শৃংখলা মেনে চলতে হয়। অনেকেই বলে থাকেন, কারাগার ইবাদতের জন্য খুব ভালো জায়গা। তারই ধারাবাহিকতায় রমজানে কারাগারে বন্দীরা নিয়মিত রোজা রাখেন। এবার রোজাদার কারা বন্দীদের সাতপদের আইটেম দিয়ে ইফতারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথমবারের মত কারা বন্দীদের জন্য ইফতার মেন্যুতে নলেন বা পাটালি গুড়ের শরবত রাখা হয়েছে। সরকার এবার কারা বন্দীদের ইফতারের বরাদ্দ ১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করেছে। এতে করে বন্দীরা তৃপ্তি ও স্বস্তি নিয়ে ইফতার করতে পারছেন।
কারাগার সূত্র জানায়, রমজানে একজন বন্দীর ইফতারের জন্য কারাবিধি অনুযায়ী বরাদ্দ থাকে ৮০ গ্রাম ভাজা ছোলা, দেড়শ’ গ্রাম মুড়ি, একটি শাহী জিলাপি, বেগুনি, দু’টি পেঁয়াজু ও একটি কলা। এবার তাতে যোগ করা হয়েছে খেজুর গুড়ের শরবত।
কারাগারে গতকাল শনিবার বন্দী ছিল নয় হাজার তিনশ’ ৯০ জন। এর মধ্যে অন্তত নয় হাজার। প্রতিদিন সন্ধ্যা ছটার আগেই বন্দীদের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়। তবে ১০০ শয্যার কেন্দ্রীয় কারা হাসপাতালে কয়েদি ও হাজতি বন্দীদের এসব ইফতারের পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে দুধসহ পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হচ্ছে। ডিভিশন পাওয়া ভিভিআইপি বন্দীরা মর্যাদা অনুযায়ী পাচ্ছেন উন্নত মানের ইফতার সামগ্রী। সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত এসব ইফতার ছাড়াও কারা ক্যান্টিন থেকে ফিরনি, দই ও হালিমসহ বিভিন্ন ইফতার সামগ্রী কিনে খেতে পারছেন কারাবন্দি রোজাদাররা।